১২
শিক্ষাবিষয়ক কয়েকটী
কথা[১]
আমাদের ছেলেরাই আমাদের জাতীয় জীবনের ভবিষ্যৎ আশাস্থল। তাহাদের উপর আমাদের দেশের উন্নতি সর্ব্বতোভাবে নির্ভর করিতেছে। দেশের দুঃখ দূর করিতে, ব্যবসা বাণিজ্য ও শিল্প দ্বারা অর্থ উপায় করিয়া আনিয়া দিতে, লোকশিক্ষার দ্বারা জনসাধারণের দৈহিক, নৈতিক ও মানসিক উন্নতি বিধান করিতে, তাহারাই আমাদের সম্বল। যথোচিত শিক্ষাদানে যাহাতে তাহাদিগকে চরিত্রবান, জ্ঞানবান ও কর্ম্মবীর করিয়া তুলিতে পারি, ইহাই আমাদের লক্ষ্য হওয়া উচিত। যাহাতে তাহারা মাতৃভূমির সমস্ত দুঃখ মোচন করিবার জন্য উপযুক্ত সুসন্তান হইয়া উঠিতে পারে, সেই দিকে দৃষ্টি রাখা, আমাদের সকলের একান্ত কর্ত্তব্য।
নিজের নিজের বাড়ীর পরেই স্কুল হইতেই আমাদের জীবনের শিক্ষা ও চরিত্র গঠন আরম্ভ হয়। উত্তরকালে যে যেরূপ হইবে, তাহার ভিত্তিস্থাপন স্কুলগৃহেই। এতগুলি নবীন জীবনের বিকাশের সাহায্য করিবার ভার যাহাদের উপর ন্যস্ত, তাহাদের দায়িত্ব কত বেশী, তাহা আমরা সকলেই বুঝি। ছেলেবেলায় নরম মনের উপর সহজেই যে ছাপ পড়ে, বড় হইলে কখনই তাহা আর মুছে না। তখন অলক্ষিতভাবে যে প্রবৃত্তি ও চিন্তা আমাদের মনে প্রবেশ করে, সারাজীবন আমরা তাহাদের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হইয়া থাকি। সেইজন্য ভাল শিক্ষকের ঋণ
- ↑ বাগেরহাট শিক্ষক সম্মিলনের সভাপতির অভিভাষণ।