পাতা:আচার্য্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়ের প্রবন্ধ ও বক্তৃতাবলী.djvu/২৭৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শিক্ষাবিষয়ক কয়েকট কথা Հ83: SAASAASAASAASAASAASAAAS আমরা কোন কালে শোধ দিতে পারিন । তাহার চেষ্টা করিলে ছেলেদের মন ভালরই দিকে ও অবহেলা করিয়া বা ভ্রমবশতঃ তাহাদিগকে মন্দের দিকে চালিত করিতে পারেন । এরূপ ভাবে দেখিলে বুঝা যায় পিতামাতার ন্যায় শিক্ষকের প্রভাব আমাদের উপর বড় সামান্য নয়। * এইরূপ গুরুভার র্যাহাদের উপর ন্যস্ত, দুঃখের বিষয় আমরা তাহাদের প্রতি বিশেষ দৃষ্টি রাখি না । যাহার ছেলেদের শিক্ষা দিবেন, তাহারা সে কার্য্যের যথার্থ উপযোগী ক্লিন, শিক্ষা দিবার তাহাদের যথেষ্ট সামর্থ্য আছে কিনা, তাহা আমরা ভাবিয়া দেখিন। আমাদের স্কুলে শিক্ষকের বেতন খুব সামান্য । অনেক কাব্যতীর্থ কিংবা আই, এ, উপাধিধারী শিক্ষকের মাহিনা আমাদের দেশের সামান্ত শ্রমজীবির মাসিক উপার্জনের অপেক্ষ অনেক সময় কম । আজকাল বিদ্যা অপেক্ষ * অর্থের আদর অনেক বেশী । জনসমাজে খাতিরও আজকাল অর্থের পরিমাণের দ্বারা হয় । শুধু অর্থোপার্জনের পথ সুগম করিব এই আশায় আজকাল আমাদের বিদ্যাশিক্ষা , সে হিসাবে শিক্ষকের স্থান অনেক নীচে পড়ে । কলিকাতায় বড় লোকের বাড়ীতে বাজার সরকার, মোসাহেব প্রভৃতি আসবাবের সহিত স্কুলমাষ্টার স্থান পাইয়া থাকেন । তাহারা যে কিরূপ মহৎ কার্য্যে আত্মসমপণ করিয়াছেন, তাহা আমরা ভাবিয়া দেখি না । তাহার ফলে এই দাড়াইয়াছে যে র্যাহারা জীবনে ফ্লার কোন রকম জীবিকা অবলম্বন করিতে পারেন নাই, তাহাম্মাই প্রায় স্থলমাষ্টার হন। তাহাদের হয় হোমিওপ্যাথিক বাক্স লইয়। ডাক্তারি করিতে হইবে, না হয় স্কুলে মাষ্টারী করিতে হইবে ।