দুর্গতি হইবে তাহাতে সন্দেহ নাই। অবশ্য অসৎ পথে প্রধাবিত হইলে যে তাহাকে বাধা দেওয়া উচিত নয় একথা আমি বলি না। তবে সকলেরই যে একই বিষয় ও একই কথা তোতাপাখীর মত কণ্ঠস্থ রাখিতে হইবে এ কথা আমি বলি না এবং সময় উপস্থিত হইলে তাহা আবৃত্তি করিয়া প্রশংসা পাইবে, এমন ব্যবস্থার দ্বারা কি উপকার সাধিত হয় তাহা আমার বোধগম্য নহে।
যে সকল বিষয়ে কিছু কিছু জ্ঞান থাকা আবশ্যক, সেই সকল বিষয় সকল বালকই কিছু কিছু শিখুক। কিন্তু তাই বলিয়া যে বালকের অঙ্কশাস্ত্র আদৌ ভাল লাগে না তাহাকে যে বাধ্য হইয়া নীরস জ্যামিতিক টীকা টিপ্পনীর অনুপানের সহিত মিলাইয়া সরস করিয়া শিক্ষকের তাড়নায় ও পরীক্ষায় অকৃতকার্য্য হওয়ার ভয়ে গলাধঃকরণ করিতে হইবে এমন কি কথা আছে? হয়তঃ তাহার ইতিহাস পাঠে অধিক ইচ্ছা; কিন্তু গণিত শিক্ষক যদি দেখেন যে সে বালক তাহার দুর্ব্বোধ্য জ্যামিতি পুস্তক ফেলিয়া ইতিহাস পাঠ করেন, তাহা হইলে তাহার হাতে ইতিহাস পরিহাসের বিষয় হইয়া উঠে। এইরূপে বাধাপ্রাপ্ত তাহার প্রতিভা স্বতঃ-প্রণোদিত পথে প্রধাবিত হইতে পারে না। ফলে তাহাকে অনেক বিষয় তিক্ত ঔষধের ন্যায় হজম করিতে হয়, এবং হয়তঃ দুর্ভাগ্যবশতঃ যে বিষয়ে তাহার আদৌ প্রবৃত্তি নাই সে বিষয়ের পরীক্ষায় অকৃতকার্য্য হইয়া উচ্চতর শিক্ষার মন্দিরে প্রবেশ করিবার অনুমতি পত্র পাওয়ায় বঞ্চিত হয়। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় সুরকীর কলের মত আমা, ঝামা, হাজা, শুকা সর্ব্ব প্রকার ইট পরীক্ষা যন্ত্রে পেষণ করিয়া ১নং, ২নং ৩নং সুরকী করিয়া ছাপ দিয়া দেয়।
এক একটা শ্রেণীতে অনেক রকমের ছেলে লইয়া শিক্ষকগণের কারবার করিতে হয়। কেহ বা অসাধারণ প্রতিভাশালী, কেহ বা