হবেন, কেউ গনেরিল আবার কেউ বা রেগান।” ছাত্র ত শুনে অবাক্—বল্লেন, “তারা কে?—” দুনিয়ার সব রসে বঞ্চিত হয়ে এ রকম রসায়নরসিক হওয়া ত বড় মুস্কিল। আর বিশ্ববিদ্যালয় এর জন্যে বড় কম দায়ী নয়। কুক্ষণে ম্যাট্রিকুলেশনের পাঠ্যতালিকা থেকে ভূগোল নির্ব্বাসিত হয়েছে। পরীক্ষায় কাজে লাগ্বে না, সুতরাং আমাদের দুলালরা আর ভূগোল পড়্বেন না, কে যেন মাথার দিব্যি দিয়েছে। ম্যাপ (Map) টাঙ্গান রয়েছে; পাশ করা ছেলেকে জিজ্ঞাসা কর্লাম “বার্লিন কোথায়?” সে ইংলণ্ডের দিকে চেয়ে রইলো। আমার একজন সহাধ্যাপক, তিনি M. Scতে Figure of the Earth অর্থাৎ পৃথিবীর আকৃতি বিষয়ে গণিতশাস্ত্রমূলক বিষয়ে অধ্যাপনা করেন। তাঁর ছাত্রদের মধ্যে কয়েকজন ভূগোলে সম্পূর্ণ অজ্ঞ—তারা পৃথিবীর আকার নির্দ্ধারণ কর্তে এসেছে, কিন্তু ভূতলের উপরে কি কি প্রসিদ্ধ দেশ, নগর বা সমুদ্র আছে সে বিষয়ে তাদের কোনও ধারণাই নেই। তারপর কন্স্টাণ্টিনোপল্ দেখাতে বলায় ম্যাপের উপর অন্ধের মত হাতড়াতে লাগ্লো। ইংলণ্ডে কিন্তু এমন হয় না। সেখানে ছেলেরা ভূগোল, প্রাকৃতিক ভূগোল আগে শেখে; পর্ব্বত, হ্রদ, নদী, নগর, দেশের উৎপন্নদ্রব্য প্রভৃতির কথা জানবার আগ্রহ তাদের খুব। আমাদের দেশে পালে পালে পাশ হয়, কিন্তু কেউ কোন খবরই রাখে না।
বিলাতে যারা ম্যাট্রিকুলেশন পাশ করে তাদের মধ্যে শতকরা ১০।১৫ জন কলেজে যায়, কিন্তু এখানে শতকরা ৯৯ জন। কলেজে পড়্তে না পেলে তারা ভাবে জীবনটা নষ্ট হ’য়ে গেল। আরে পাশ কর্লেই মাটি! কেবল কতকগুলো অকেজো পুতুল সৃষ্টি! শিবপুর কলেজ থেকে একজন এম-এস্সি বা বি-এস্ সি “অনার্স” এর জন্যে