পাতা:আচার্য্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়ের প্রবন্ধ ও বক্তৃতাবলী.djvu/৩০৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২৭৮ আচার্য্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়ের প্রবন্ধ ও বক্তৃতাবলী পুষ্টিকর খাদ্য মাছ ও দুধ সর্ব্বত্রই দুষ্প্রাপ্য হ’য়ে উঠেছে। একে অস্বাস্থ্যের এইসব কারণ উপস্থিত রয়েছে, তার উপর ছাত্রের অতিরিক্ত পাঠ, কাজেই অল্প বয়সে স্বাস্থ্য ভঙ্গ হয় এবং সে কাজের বার হয়ে পড়ে। ২৪ ঘণ্টায় একদিন । ছেলেমানুষের আট ঘণ্টা ঘুমুলেই যথেষ্ট হয় । ১৬ ঘণ্টা হাতে থাকে। তার মধ্যে রোজ ৪ ঘণ্টা পড়লেই প্রচুর। কিন্তু পড়তে হবে পরিপূর্ণ একাগ্রতার সহিত, নইলে কোন কাজ হবে না। বাঙ্গালী ছাত্রের প্রধান শক্র—পড়বার সময় অনেকের একত্র অবস্থান। এরূপ করলে গল্প আসবেই—অস্তত: অতর্কিতভাবে আসবে। আর বাঙ্গালীর প্রধান বিপদ হচ্ছে আড্ডা। বেশী বয়সে আমরা সবাই বসে কাটাই, বাহিরে উঠে হেঁটে বেড়াতে উৎসাহ আসে না, প্রবৃত্তিও হয় না ; তাস-পাশাতেই কত সময় কেটে যায়। আবার এই তাসপাশার আড়ার পাশে অনেক সময় ছেলেরা পড়াশুনা করে। বিপদ কি ভয়ানক ! ইউরোপীয়ান যখন পাঠাগারে একমনে অধ্যয়ন করে তখন তার স্ত্রীকেও ( “ May I come in ” ) “ আমি কি ভিতরে যেতে পারি ” এই ব’লে দরজায় ( knock ) ঠোকা দিতে হয়। যেন অনিচ্ছাসত্বেও ঘরে যেতে হচ্ছে, যেন শুধু বিরক্ত করতে। কারণ পাঠাগার ঠাকুরঘরের মত পরিত্র স্থান, সেখানে কথা কওয়া পাপ । তার পরের কথা--- * “Work while you work, play while you play, This is the way to be cheerful and gay ”— কাজের সময় কাজ করতে হয়, খেলার সময় খেলা ; তা হলেই মনে আনন্দ ও উৎসাহ থাকে । আমি সর্ব্বদাই কাজ করি, আবার অবসরমত করি না । একজন বড় ইংরেজ দোকানদার আফিসে একমনে