দেখা যাইতেছে যে মহাত্মা যে আদর্শ দেখাইতেছেন তাহা এখানে প্রতিফলিত হইতেছে। মহাত্মা গান্ধী যে কত বড় একজন পুরুষ, কেন যে তিনি শুধু ভারতে নয় অনেক সুসভ্য দেশেও যুগাবতার বলিয়া গণ্য হইতেছেন তাহা আমরা বুঝিতে পারিতেছি।
জাতীয় শিক্ষা—কেন আমি এখানে আসিয়াছি? কোন্ ডাকে আসিয়াছি? আপনাদের জাতীয় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শ্রীযুক্ত পরেশনাথ মাইতি ৪।৫ মাস পূর্ব্বে আমাকে আহ্বান করিয়াছিলেন। আমি মেদিনীপুরের শ্রীযুক্ত সাতকড়িপতি রায়কে জিজ্ঞাসা করিয়াছিলাম “আপনাদের জেলায় কলাগেছিয়া বলিয়া কোন জায়গা আছে? তিনি বলিলেন “হাঁ, আছে, সেখানে কয়েকজন ত্যাগী যুবক আছেন, তাঁহারা অন্য জীবনোপায়ের পথ না রাখিয়া দেশের উন্নতির জন্য অনেক চেষ্টা করিতেছেন।” ভগীরথ যেমন শঙ্খনিনাদ করিয়া মর্ত্তে গঙ্গা আনয়ন করিয়াছিলেন, আপনাদের জাতীয় বিদ্যালয়ের সম্পাদক জগদীশবাবুও সেইরূপ বিদ্যারূপিণী গঙ্গাকে আপনাদের দ্বারে আনিয়াছেন। আপনারা এক এক ঘটী না হউক এক এক গণ্ডুষ পূত সলিল গ্রহণ না করিলে বড়ই ক্ষোভের বিষয় হইবে।
আমি জাতীয় বিদ্যালয়ের জন্য এ দেশ সে দেশ ঘুরিয়া বেড়াই কেন? বরিশাল, বিক্রমপুর প্রভৃতি অনেক জায়গায় গিয়াছি। এখানেও আমার আসার কি প্রয়োজন ছিল? আমি ত আজীবন “গোলামখানায়” দাসখত লিখিয়া বসিয়া আছি। ২৫।২৬ বৎসর চাকুরী করিয়া পেন্সন ভোগ করিতেছি। বাংলার ভূতপূর্ব্ব গবর্ণর লর্ড রোণাল্ডসে স্বয়ং আমাকে পত্র লিখিয়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোর্টের মেম্বার করিয়া দিয়াছেন। আমি বারাণসী হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন অবৈতনিক অধ্যাপক। এইরূপে আমি অনেকগুলি “গোলাম-