পাতা:আচার্য্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়ের প্রবন্ধ ও বক্তৃতাবলী.djvu/৩২২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
জাতীয় বিদ্যালয়ের প্রয়োজনীয়তা
২৯১

গুলি মরিয়া গেল—অনেকগুলি উঠিয়া গিয়াছে—২।৪টা মাত্র শ্বাস টানিতেছে— ও-গুলিকেই বা রাখিয়া দরকার কি? কলাগেছিয়া জাতীয় বিদ্যালয় উঠিয়া গেলে আপনাদের অনেক ক্ষতি হইবে। বাংলা দেশে জাতীয় বিদ্যালয় টেকে না কেন? অতি সহজেই ইহার উত্তর দেওয়া যায়। ইহার কারণ বাংলার ব্রাহ্মণ বলুন, কায়স্থ বলুন, বৈদ্য বলুন, ইহাদের লেখাপড়া শিখিবার মূলমন্ত্র চাকুরী। আবার অন্য সম্প্রদায়ের মধ্যে সেই রোগ সংক্রমিত হইতেছে। ইহার ফলে এই দাঁড়াইয়াছে যে একজন গ্রাজুয়েট ৩০৲ টাকাও উপায় করিতে অক্ষম। কিন্তু একজন কুলী ইহা অপেক্ষা অধিক উপার্জ্জন করে। তাহা বলিয়া লেখাপড়া বাদ দেওয়া উদ্দেশ্য নয়। এত চাকুরী কোথায় পাওয়া যাইবে? রজনী সেনের একটী গান মনে পড়ে যাহার অর্থ এই যে আদালতে মক্কেলের চেয়ে উকীল বেশী। গানটী এই—

“উকীল”

দুর্দ্দশার কি দিব ফর্দ্দ?
দেখ হয়েছি বেহায়ার হদ্দ;
কাজ যত, তার ত্রিগুণ উকীল,
মক্কেল তাহার অর্দ্ধ।”

আবার গবর্ণমেণ্টও ব্যয়-সংক্ষেপ করিতেছেন। চাকুরীর সংখ্যা বরং কম হইবে কিন্তু বাড়িবে না। যে কয়জন বৎসরের মধ্যে মরে বা পেন্সন পায়,ততটী চাকুরী খালি হয়। আবার মাহিষ্য, বারুই প্রভৃতি জাতি শিক্ষায় অগ্রসর হইতেছে। আর মুসলমান ভ্রাতাদের ত কথাই নাই। হাজার হাজার গ্রাজুয়েট—হাজার হাজার চাকুরী কোথায় পাওয়া যাইবে! চাকুরীকে উদ্দেশ্য করিলে চলিবে না। তারপর আমেদাবাদেই বা জাতীয় বিদ্যালয় ভাল চলে কেন? গুজরাটে জাতীয়