পাতা:আচার্য্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়ের প্রবন্ধ ও বক্তৃতাবলী.djvu/৩২৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
২৯৪
আচার্য্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়ের প্রবন্ধ ও বক্তৃতাবলী

ভট্টাচার্য্য। তাঁহারও মত, পয়সা উপার্জ্জন করিতে হইলে স্কুল কলেজে অধিক লেখাপড়ার কোনও আবশ্যক থাকে না! এই যে পিতামাতা অনাহারে থাকিয়া, এমন কি বিধবা মাতা গায়ের গহনা বন্ধক দিয়া পুত্রকে মাসে ৪০।৪৫৲ এমন কি মেডিকাল কলেজে পড়িবার জন্য মাসে ৬০৲ টাকা দিয়াও কলিকাতা পাঠান, তাহাতে শ্রীমানদের ইহকাল পরকাল যায়। তাহারা একেবারে অকর্ম্মণ্য হইয়া পড়ে। তাহারা থিয়েটার দেখে, সিনেমা দেখে, গায়ে পাঞ্জাবী, হাতে রিষ্ট ওয়াচ, পায়ে পামসু, পরণে মিহি কাপড়, আর নাদুশ নুদুশ নন্দদুলালের মত চলন। তাহারা ছুটীতে বাড়ী আসিলে যেমন সাহেবদের গ্রেহাউণ্ড কুকুর দেখিয়া গ্রাম্য কুকুরগুলি ঘেউ ঘেউ করিতে থাকে, তেমনি পল্লী গ্রামের গো-বেচারা ছেলেরা তাহাদের দিকে ফ্যাল্ ফ্যাল্ করিয়া তাকাইয়া থাকে। সহুরে ছেলেরা গ্রামে কত রকম ফ্যাসান দেখান, তাঁহারা থিয়েটার দেখান, তাঁহাদের কতরকম সেভিং এপারেটাস দেখান, সঙ্গে সঙ্গে আবার Hazel Snow. এখনকার ছেলেরা একবেলা রান্না করিয়া খাইতে পারে না। এই সকল অকর্ম্মণ্য পুতুল লইয়া দেশের কি কাজ হইতে পারে? ননীর পুতুল হইয়া পড়ে বলিয়া আমাদের ছেলেরা ব্যবসা করিতে পারে না। আপনাদের সব ছেলে কলেজে বিদ্যা দিগ্‌গজ্ হইয়া মুন্সেফ, ডেপুটী, কেরাণী হইলে আপনাদের সব ক্ষেত পড়িয়া থাকিবে। তাই আমি বলি এখানে যদি জাতীয়ভাবে শিক্ষা হয়, জাতীয়তা রক্ষা হইবে, দেশাত্মবোধ জাগ্রত হইবে। একটা জাতীয় বিদ্যালয় ও একটী গবর্ণমেণ্ট বিদ্যালয়ের মধ্যে তফাৎ কি? আমি আমার গ্রামের স্কুলের স্থায়িত্বের জন্য কিছু সম্পত্তি দান করিয়াছি। একা গবর্ণমেণ্ট প্রায় ৪৫ হাজার টাকা গৃহ নির্ম্মাণের জন্য দান করিয়াছেন। ইন্‌ম্পেক্টর স্কুল গৃহ দেখিয়া বলিলেন যে, ইহা Finest