পাতা:আচার্য্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়ের প্রবন্ধ ও বক্তৃতাবলী.djvu/৩২৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জাতীয় বিদ্যালয়ের প্রয়োজনীয়তা ఇవిa যেমন সৈন্তগণ সেতুবন্ধন করিয়া নদী পার হয় এবং সম্মুখে শক্রকর্তৃক আক্রান্ত হইয়া পশ্চাদ্ধাবিত হইবার সম্ভাবনা দূর করিৰার জন্য নিজেরাই সেই সেতু নষ্ট করিয়া দেয়—সেইরূপ জাতীয়ভাবে শিক্ষা লাভ করিলে শিক্ষার্থী দিগের অনন্তোপায় হইয়। চাকুরী অবলম্বন করিৰার আশা থাকে. না । জাতীয় শিক্ষার আর একটা উপকারিত আছে। অতি অল্পদিনের মধ্য ভারতকে জগৎসভায় স্থান পাইতে হইলে তাহার সস্তানগণকে জাতীয়ভাবে শিক্ষিতু হইতে হইবে। জাপানু নিজের জাতীয়তা রক্ষা করিয়া পাশ্চাত্য শিক্ষা লাভ করিয়াছিল বলিয়াই গত ৫ বৎসরের মধ্যে তাহার এই অভূতপূর্ব্ব উন্নতি । জাতীয় বিদ্যালয়ে শিক্ষালাভ করিলে একই সময়ের মধ্যে ১০ গুণ তুধিক শিক্ষালাভ করা যায়। কারণ, এখানে মাতৃভাষায় সমুদায় বিষয় শিক্ষালাভ করিয়া শিক্ষাধিগণ পাশ্চাত্য ভাষার শব্দ গাম্ভীর্য্য, ব্যাকরণ বিভীষিকার হাত হইতে নিষ্কৃতি পায়। পণ্ডিত শিবনাথ শাস্ত্রী বলিয়াছেন, মহামতি জটিশ রানাডে একদিন প্রশ্ন উত্থাপন করেন—ইংরাজ শাসনে আমাদের কি কি অপকার সাধিত হইয়াছে ? তিনি উত্তরে বলেন আমাদের দেশে সমস্তখন শোষিত হইয়া বিদেশে যাইতেছে এবং শাসনে আমাদের, কোনও হাত নাই । কিন্তু রানাডে মহাশয় মস্তক সঞ্চালন করিয়া বলিলেন “সর্ব্বাপেক্ষ অনিষ্ট এই যে আমরা সঙ্কীর্ণতার গণ্ডীর মধ্যে পড়িয়াছি 1. আমাদের wider outlook sfxRi FfFLECS 1 দেশাত্মবোধও জাতীয়তা কমিষু গিয়া আমরা খুঁটিনাটি লইয়া আছি । এবং তাহাতে আমাদের সর্বনাশ হইতেছে। যদি আমাদের স্বরাজ থাকিত তাহা হইলে আর এমনটি হইত না।” জাতীয় বিদ্যালয়ে পড়িলে এই কৌপীনধারী মহাত্মা এবং যাহারা দধীচির মত সর্ব্বস্ব দিয়া দেশের সেবা করিয়াছেন, তাহারাই ছান্দ্রদিগের আদর্শ হন। সেই