মধ্যে সীমাবদ্ধ। এই জাগরণের প্রবাহে অনুন্নত তথাকথিত নিম্নশ্রেণীর লোকেরা কোথায়? শিক্ষার অভাবে তাহারা ইহার প্রকৃত স্বরূপটি কিছুমাত্র হৃদয়ঙ্গম করিতে পারে না। শিক্ষিত তথাকথিত উচ্চশ্রেণীর সহিত তাহাদের সামাজিক বা হৃদয়ের কোন যোগাযোগ না থাকায় জাতীয় আন্দোলনে আমরা তাহাদের সহানুভূতি পাইতেছি না। শিক্ষা ও দীক্ষা (Culture) মুষ্টিমেয় লোকের মধ্যে সীমাবদ্ধ—ইহার বিস্তার না হইলে এইরূপ জাতীয় আন্দোলনের মৃত্যু অবশ্যম্ভাবী।
ইংলণ্ড প্রভৃতি পাশ্চাত্য দেশে লোকে কৃতী ও বিত্তশালী হইলে তাহাদের আয়ের একটি অংশ দেশের ও গণের কাজে নিয়োজিত করেন। এই প্রকার দান করা এখন সর্ব্বসাধারণ নিয়ম হইয়া দাঁড়াইয়াছে। বিলাতি কাগজে Wills & Bequests নামে একটি স্তম্ভ থাকে, তাহাতে এই প্রকার মৃত্যুকালীন দান উল্লিখিত হয়। যদি কোন অর্থবান মৃত্যুকালে বা জীবদ্দশায় তাঁহার অর্থের কিয়দংশ দেশের কাজের জন্য না দান করিয়া যান তাহা হইলে জনসাধারণে তাহাকে হেয় জ্ঞান করে। কাজেই সামাজিক কল্যাণকর অনুষ্ঠান বিলাতে সাধিত করিবার জন্য কখনো অর্থাভাব হয় না। Guy’s Hospital প্রভৃতি জগৎবিখ্যাত প্রতিষ্ঠানগুলি এইরূপ স্বেচ্ছাকৃত দানের উপর নির্ভর করে। শিক্ষা, সমাজসেবা, দেশসেবা প্রভৃতির নানা আয়োজন এই প্রকার লব্ধ অর্থের দ্বারা চালিত। দেশে সমস্ত স্তরের লোকের মধ্যে এক অঙ্গাঙ্গীভূত যোগই এই প্রকার দানশীলতাকে অনুপ্রেরিত করে। আর এদেশে? আমাদের মাত্র শতকরা ৬।৭ জন শিক্ষিত অর্থাৎ বর্ণজ্ঞানবিশিষ্ট। কোন প্রকারে নাম দস্তখত করিতে পারিলেই আদম সুমারীর হিসাবে শিক্ষিত বলিয়া ধরা হয়। ভারতবাসী অশিক্ষায় ও কুসংস্কারে মগ্ন। দেশ ম্যালেরিয়া, অন্নকষ্ট, জলকষ্ট, বন্যা, দুর্ভিক্ষ