পাতা:আচার্য্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়ের প্রবন্ধ ও বক্তৃতাবলী.djvu/৩৪৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩১৮ আচার্য্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়ের প্রবন্ধ ও বক্তৃতাবলী প্রভৃতি নানাবিধ দুর্ভাগ্যে পীড়িত । তথাকথিত শিক্ষিত সম্প্রদায়ের অধিকাংশই চাকুরীজীবী । জমিদারবর্গ প্রজার রক্ত শোষণ করিয়া সহরে বাস এবং অর্থের অপব্যয় করেন । দান করিবার মতে; অর্থ তাহদের কাজেই নাই । অকুন্নত শ্রেণীর নিকট হইতে দেশের মঙ্গলকর কার্ঘ্যে কোন সাড়া পাওয়া যায় না। জাতিভেদের প্রায়শ্চিন্তুষ্ট এইখানে । আর শিক্ষিত ব্রাহ্মণ, বৈদ্য, কায়স্থ আমাদের, Shakespeare, Milton Ho oi Culture (*#4) wrototăţă stors বা সদাগরী অফিসে কেবল কলমপেশাতেই পর্য্যবসিত হয়। দান করিবার মতো অর্থ "আমাদের কোথায় ? পূর্ব্ববঙ্গে অনেক সাহা ও তিলি-জাতীয় ধনী ব্যবসায়ীর বাস । আমাদের চিরকাল তাহাদের একদিকে কোণঠাসা করিয়া রাখিবার ফল এই হইয়াছে যে, তাহাদের আমাদের কোন চিন্তাধারার সঙ্গে যোগ নাই। পূর্ব্ববঙ্গে আমাদেরই zooga Research Scholar অর্থাং গবেষণারত ছাত্র কার্য্যে ব্রতী হইয়াছেন । ইগরা নগ্নপদে ২০২৫ মাইল পর্য্যটন করিয়াও ধনীব্যক্তিদিগের নিকট হইতে ৫২ টাকাও সাহায্য পান না । কিন্তু আশ্চর্য্যের বিষয় এই সমস্ত ধনী ব্যক্তিরই নিকট যদি কোন বাবাজীর শুভাগমন হয়, তখন সেই ব্যক্তি প্রভুর আদেশে গললগ্নীকৃতবাসে “একসের" গাজ মাঙাইতে ও হাজার লোক খিলাইতে” কোন প্রকার দ্বিধা করে না । দুর্ভিক্ষ, বন্যা প্রভৃতিতে মাড়োয়ারীদের নিকট হইতে তবুও কিছু সহানুভূতি পাওয়া যায়। কেননা জীবে দয়া তাহাদের ধর্ম্মের অঙ্গ । কিন্তু দুর্ভিক্ষ প্রভৃতি বিপৎপাত ভিন্ন যখন দেশের Constructive ( গঠনশীল ) কোন কাজ করিবার দরকার হয় তখন আর কোন উৎসাহ জাসে না। কয়েক বৎসর পূর্ব্বে নাগপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ে বস্তৃতা প্রদান উপলক্ষে গমন করিয়া স্তর বিপিনকৃষ্ণের নিকট