প্রভৃতি নানাবিধ দুর্ভাগ্যে পীড়িত। তথাকথিত শিক্ষিত সম্প্রদায়ের অধিকাংশই চাকুরীজীবী। জমিদারবর্গ প্রজার রক্ত শোষণ করিয়া সহরে বাস এবং অর্থের অপব্যয় করেন। দান করিবার মতো অর্থ তাঁহাদের কাজেই নাই। অনুন্নত শ্রেণীর নিকট হইতে দেশের মঙ্গলকর কার্য্যে কোন সাড়া পাওয়া যায় না। জাতিভেদের প্রায়শ্চিত্তই এইখানে। আর শিক্ষিত ব্রাহ্মণ, বৈদ্য, কায়স্থ আমাদের, Shakespeare, Milton মুখস্থ করা Culture (কর্ষণ) মাড়োয়ারীর আড়তে বা সদাগরী আফিসে কেবল কলমপেশাতেই পর্য্যবসিত হয়। দান করিবার মতো অর্থ আমাদের কোথায়? পূর্ব্ববঙ্গে অনেক সাহা ও তিলি-জাতীয় ধনী ব্যবসায়ীর বাস। আমাদের চিরকাল তাহাদের একদিকে কোণ ঠাসা করিয়া রাখিবার ফল এই হইয়াছে যে, তাহাদের আমাদের কোন চিন্তাধারার সঙ্গে যোগ নাই। পূর্ব্ববঙ্গে আমাদেরই কয়জন Research Scholar অর্থাৎ গবেষণারত ছাত্র কার্য্যে ব্রতী হইয়াছেন। ইঁহারা নগ্নপদে ২০।২৫ মাইল পর্য্যটন করিয়াও ধনীব্যক্তিদিগের নিকট হইতে ৫৲ টাকাও সাহায্য পান না। কিন্তু আশ্চর্য্যের বিষয় এই সমস্ত ধনী ব্যক্তিরই নিকট যদি কোন বাবাজীর শুভাগমন হয়, তখন সেই ব্যক্তি প্রভুর আদেশে গললগ্নীকৃতবাসে “একসের গাঁজা মাঙাইতে ও হাজার লোক খিলাইতে” কোন প্রকার দ্বিধা করে না।
দুর্ভিক্ষ, বন্যা প্রভৃতিতে মাড়োয়ারীদের নিকট হইতে তবুও কিছু সহানুভূতি পাওয়া যায়। কেননা জীবে দয়া তাহাদের ধর্ম্মের অঙ্গ। কিন্তু দুর্ভিক্ষ প্রভৃতি বিপৎপাত ভিন্ন যখন দেশের Constructive (গঠনশীল) কোন কাজ করিবার দরকার হয় তখন আর কোন উৎসাহ আসে না। কয়েক বৎসর পূর্ব্বে নাগপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ে বক্তৃতা প্রদান উপলক্ষে গমন করিয়া স্যর বিপিনকৃষ্ণের নিকট