পাতা:আচার্য্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়ের প্রবন্ধ ও বক্তৃতাবলী.djvu/৩৬১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৩০ আচার্য্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়ের প্রবন্ধ ও বক্তৃতাবলী কথা হচ্ছে এই যে যখন একটা সম্মান সুবিধা নিজের চেষ্টা যত্ন দ্বারা আয়ত্ত করতে হয় না, যখন আভিজাত্যের সম্মান বংশপরম্পর ক্রমে অনায়ণ লভ্য হয়ে উঠে, সেই দিন হইতেই জাতির অধঃপতন সুরু হয় । তাই আজ এ দেশে ব্রাহ্মণ বংশে জন্মিয় লেখা পড়া না শিথিয়া বর্ণ জ্ঞানহীন হইয়াও পূজা করিতে পারে—আজ ৫৪ বৎসর কলিকাতায় আছি, কলেজ ষ্ট্রীট ও হারিসন রোডের মোড়ে কৃষ্ণদাস পালের মর্ম্মরমূর্ত্তির ধারে দেখেছি সাবেকী বৃদ্ধাশ্ন লোক দেখলে জিজ্ঞেস করতেন, “আপনি কি ব্রাহ্মণ–একটু যদি পাদোদক দেন– ” বৃদ্ধারা ব্রাহ্মণের পাদোদক গ্রহণ না করে জল স্পশ করতেন না—ত সে ব্রাহ্মণ যতই গণ্ডমূর্খ ও কদাচারী হৌক না কেন ! ক্ষমতা ও প্রভুত্ব বংশগত হয়ে গেলে নিজের আর কোনো চেষ্টা করার দরকার হয় না । মানুষ সব অলস ও কর্ম্ম বিমুখ হয়ে যায়। বংশগত জমিদারদের দেখে বড় দুঃখ হয়—অলস বিপুলকায় জমিদারের শারীরিক পরিশ্রম করবে না, exercise নেবে না, বেড়াবে না, মাটিতে তাদের পা স্পর্শ হতে পারবে না, তাতে তাদের অপমান হয় । সাড়ে আঠারো রকমের ব্যামো তাদের লেগেই আছে । একজন ইংরেজ লর্ডের অবস্থা দেখুন না-লগুনে টিউব রেলওয়েতে একজন শ্রমজীবীর সাথে এক আসনে বসে যাচ্ছে—ইংলণ্ডে বহু কোটাপতিও একজন মুটে মজুরের পাশে বসে যেতে লজ্জা বোধ করে না। আধমনী গ্লাডষ্টোন ব্যাগ হয়ত হাতে করেই চল্প, কারণ, সেখানে অঙ্গুলি সঙ্কেতেই ভারবাহী মুটে পাওয়া যায় না । আমাদের দেশে পিতা পিতামহ অর্থ সঞ্চয় করে কিম্বা জমিদারী কিনে আমাদের শাপগ্রস্ত করে রেখে যান । ভগবান যিশুখষ্ট zooga, “Ye shall not eat except by the sweat of 窮