চল্ল পূজা কর্ত্তে। সে মন্ত্র পড়লে তাহা ভগবানের কাণে পৌঁছবে, আর তার অপেক্ষা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন জ্ঞানী গুণী ব্যক্তি যিনি ব্রাহ্মণবংশ সম্ভূত নহেন—তিনি উচ্চারণ করলে হবে না, তুমি আমি মন্ত্র পড়লে তার শুদ্ধ সংস্কৃত হবে না। পুরোহিতের বেশ সুন্দর একটা শ্লোক আছে—“পুরীষের ‘পু’, রোষের রো, হিংসার ‘হি’ ও তস্কর্য ‘ত’ ইতি পুরোহিত”—concentrated essence of all. মনে কর্বেন না যে আমি নিজে শ্লোক তৈরী করেছি। ২ হাজার বৎসর পূর্ব্বে বাণভট্টের “হর্ষ চরিতে” ব্রাহ্মণের যে বিবরণ পাঠ করা যায় তাহাও অতি আশ্চর্য্য। এই পুরোহিত ঠাকুরদের ব্যবসা-সম্বন্ধে সকলেরই একটু বিশেষ করে ভাবা উচিত।
জাতিভেদের কথা তুলে প্রায়ই শুন্তে পাই যে ইংরেজদের দেশেও ত জাতিভেদ আছে। ইংলণ্ডেও জাতিভেদ আছে স্বীকার করি— কিন্তু আমাদের দেশের জাতিভেদ এবং ওদের দেশের জাতিভেদে অনেক পার্থক্য। ইংলণ্ডে যে কোনো লোক Peer হইতে পারে। ম্যাকলে তাঁহার ইংলণ্ডের ইতিহাসে ত্রয়োদশ শতাব্দীর সমাজের কথা বল্ছেন—“It had none of the invidious character of caste. Any one could become a peer.” আমাদের বর্ত্তমান বড়লাট লর্ড রেডিং সামান্য লস্কর হয়ে মাস্তুল তোলা হইতে ডেক পরিষ্কার পর্য্যন্ত সবই করতেন—একবার কল্কাতায়ও এসেছিলেন। তিনি জাতিতে ইহুদি। যুদ্ধের সময় আমেরিকায় দৌত্য কার্য্যে প্রেরিত হ’ন—শেষে Peer of the Realm হ’ন। আর বিদেশের কথায় কাজ কি—আমাদের লর্ড সিংহের কথাই ধরুন না। তিনি জাতিতে বাঙ্গালী হইয়াও লর্ড উপাধিতে ভূষিত হলেন! “From Subaltern to the Field-marshal.” নিম্নতম সৈনিক