সন্নিকটে একটি Dairy farm অর্থাৎ গো-শালা আমি দেখিতে গিয়াছিলাম। দেখিলাম উপরি লিখিত খাদ্যাদির সহিত প্রচুর পরিমাণে oilcake (খইল), ভূষি প্রভৃতি ব্যবহার হয়। এক একটা গাভী পনর সের হইতে আধ মণের কম দুধ দেয় না। ছয় বৎসর পূর্ব্বে একবার শীতকালে আমি যখন ইংলণ্ডে গিয়াছিলাম, তখন একটা গাভী একমণ দুধ একদিনে দিয়াছিল বলিয়া সংবাদপত্রে হুলুস্থুল পড়িয়া যায়।
আমার এই কয়টা কথা লেখার তাৎপর্য্য এই, যদি প্রকৃত পক্ষে কোন দেশে গো-পালন ও গো-সেবা থাকে, তাহা ইংলণ্ড প্রভৃতি দেশে আছে। আবার গরুর কোনপ্রকার সংক্রামক ব্যাধি আছে কিনা (Foot and mouth disease, rinder pest), ইহার জন্য স্বাস্থ্যবিভাগ হইতে ইনস্পেক্টারগণ নিয়ত তদারক করিবার জন্য নিযুক্ত আছেন। কোনস্থানে সংক্রামক ব্যাধি দেখিলে তৎক্ষণাৎ সেই গরুকে গুলি করিয়া মারা হয় এবং তাহার দেহ ভস্মীভূত করা হয়, পাছে সংক্রামক ব্যাধি বিস্তার লাভ করে। আমাদের দেশে প্রায়ই দেখা যায়, আবাদ অঞ্চলে যখন ফসল উঠাইয়া লওয়া হয়, তখন গরু ও বলদ ছাড়িয়া দেওয়া হয়। এবং যদি গো-বসন্ত প্রভৃতি রোগ একবার দেখা যায়, তখন মনে করুন নদীয়া হইতে তাহার সংলগ্ন যশোহর, যশোহর হইতে তাহার সংলগ্ন খুলনা এবং খুলনা হইতে তাহার সংলগ্ন বরিশাল, ফরিদপুর প্রভৃতি স্থান পর্য্যন্ত গো-মড়ক উপস্থিত হয়। এই প্রকারে লক্ষ লক্ষ গরু ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়। আমাদের দেশের চাষীরা শীতলার কৃপা বলিয়া হাত পা কোলে করিয়া বসিয়া থাকে।
লণ্ডনে-প্রাতে সাতটার পূর্ব্বে প্রতি গৃহস্থের বাড়ীর দরজার নিম্নে মুখ-আটা দুগ্ধপূর্ণ পাত্র দুধওয়ালারা রাখিয়া যায়। গৃহস্থ গাত্রোত্থান