পাতা:আচার্য্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়ের প্রবন্ধ ও বক্তৃতাবলী.djvu/৩৮৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৫২ আচার্য্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়ের প্রবন্ধ ও বক্তৃতাবলী একপ্রকার অসাধ্য হইয়া উঠিয়াছে। আমার ছেলেবেলায় অর্থাৎ পঞ্চাশ ষাট বছর পূর্ব্বে বাঙ্গালীর ঘরে গোয়ালভরা দুগ্ধবতী গাভী ছিল, আর এখন দেখা যায় অতি অল্প গৃহস্থেরই ঘরে গো-পালনের র্যবস্থা আছে এবং গরুর খাদ্যের স্ববন্দোবস্ত নাই বলিয়৷ সাধারণতঃ এক একটা গাভী আধ সের তিন পোয় মাত্র দুধ দেয়। ইহার কঙ্কালসার ও ক্ষুধাতুর। নিজের বাছুরকেই বা কি দিবে, এবং গৃহস্থকেই বা কি দিবে ? আমার মনে হয় শীঘ্রই এমন আইন প্রচলন হওয়া, দরকার, যাহাতে প্রত্যেক গ্রামে যথেষ্ট পরিমাণ গো-চারণের মাঠ স্বরক্ষিত থাকে। এই যে প্রায় পাচকোটি বাঙ্গালী—ইহার এবং ইহাদেব শিশুগণ কতটুকু দুধ খাইতে পারে ? দুধই সর্ব্বাঙ্গ সুন্দর খাদ্য (A Perfect Food) অর্থাৎ ইহাতে শরীর গঠনের যাবতীয় উপাদান বিদ্যমান। শৈশবে ও বাৰ্দ্ধক্যে দুগ্ধই প্রধান খাদ্য হওয়া উচিত। এই যে আজ বাঙ্গালীজাতির এই প্রকার শারীরিক অননতি ও দুর্বলতা তাহার প্রধান কারণ দুগ্ধের ন্যায় পুষ্টিকর থাষ্ঠের অভাব। আর মাছের তো কথাই নাই। সর্ব্বত্রই দেখিলাম একটাক পাচসিকার কমে সের মিলে না । বিশেষতঃ এবার পদ্মায় ইলিশ মাছেরও দুর্ভিক্ষ । বাঙ্গালী আজ তাহার উদর শাকপাত ডাটা প্রভৃতি কদর্য্য, দ্রব্যে পরিপূর্ণ করে। অর্থাৎ পুষ্টিকর খাদ্যের অভাবে (rnalnutrition) বাঙ্গালী জাতির সর্বনাশ হইতেছে। আর এই যে ম্যালেরিয়া আষ্ঠেপৃষ্ঠে তাহাকে বাধিয়া ফেলিয়াছে, তাহারও প্রধান কারণ, পুষ্টিকর *:753 s[strz Esztą resisting power zi Gąfs রাধা দিবার ক্ষমতা হ্রাস পাইয়াছে। বারাস্তরে বাঙ্গালী জাতির ঘোর দারিদ্র্যের বিষয় বলিবার বাসনা রহিল। $