পাতা:আচার্য্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়ের প্রবন্ধ ও বক্তৃতাবলী.djvu/৩৯৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বাঙ্গালী—মরণের পথে ○や○・ চাষের (Pisciculture ) জন্য বিশেষজ্ঞ নিযুক্ত আছেন। ষ্টীমার ও রেলওয়ে হইয়া গ্রামের সমস্ত মাছ ঝাটাইয়া কলিকাতাভিমুখে চলিয়া যাইতেছে ; দেশের লোকের জন্য কিছুই থাকে না। ফলকথা মাছ দুধই বাঙ্গালীর প্রধান পুষ্টিকর খাদ্য ছিল এবং তাহার অভাবই স্বাস্থ্যহানির প্রধান কারণ। পুষ্টিকর খাদ্য এখন দেব-দুল্লভ। বাঙ্গালীর উদর এখন শাক, পাতা অর্থাৎ নটে শাক, কলমী শাক, পুইশাক, থোড় ইত্যাদির দ্বারা পূর্ণ হইতেছে - সামান্ত ছোট চিংড়ী, চুণামাছ ইহার সহিত মিশ্রিত করিয়া এবং অপর্য্যাপ্ত লঙ্কা ও সরিষা বাটনা দিয়া চচ্চড়ী প্রস্তুত করিয়া কতক স্ত্রীলোক মনের প্রবোধ দেন যে, তাহারা, সধবা । আর এক সর্ব্বনাশ উপস্থিত। 'কলিকাতায় এখন মেড়ে মোড়ে চায়ের দোকান এবং এই সংক্রামক ব্যাধি মফঃস্বলের কলেজে এবং গ্রামেও বিস্তার হইতেছে ; কেবল ঢকু ঢক করিয়া যুবকগণ চা পান করে । চার খাদ্য হিসাবে কোন মূল্য নাই, কেবল স্নায়ুর উত্তেজক মাত্র ও অজীর্ণ রোগের আকর । সেদিন বাগেরহাট কলেজে ছেলেদিগকে এই প্রকার বিষ পান করিতেছে কেন জিজ্ঞাসা করিলাম । ইহার প্রতি পেয়ালা চার পয়সা দিয়া ক্রয় কুরে। আমি বলিলাম যদি একসের চিড় ০ ও একসের নূতন গুড় / ( যাহ। সেখানে যথেষ্ট মিলে) একরারে ক্রয় করিয়া রাখ তবে অনুন পনর দিনের জলখাবার সংস্থান হয়। এবং প্রতিবার দুই পয়সা হিসাবে পড়ে। আর ইহার সহিত যদি একটা কলা ও একটু নারিকেল কোর মিশাইতে পার তাহ। হইলে সর্ব্বাঙ্গ সুন্দর হয় অর্থাৎ রাসায়নিকভাবে ইহাকে perfect food কহে । একটা জুম্যো” অর্থাৎ যাহার শাস একটু শক্ত হইয়াছে এরূপ নারিকেল দুইদিন ভাগ করিয়া খাওয়া যায় ; তাহা ছাড়া আমি •