পাতা:আচার্য্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়ের প্রবন্ধ ও বক্তৃতাবলী.djvu/৩৯৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৬৪ আচার্য্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়ের প্রবন্ধ ও বক্তৃতাবলী নিজে সর্ব্বদাই নূতন পয়র গুড়ের ( আমাদের এখানে মৌঝোলা গুড় বলে ), তৈয়ারী মুড়ির চাকৃতী বড় টিনের কোঁটায় মচমচ অবস্থায় ংরক্ষিত করি এবং প্রত্যহ উপাদেয় বলিয়া আহার করি। “ডাস্ব* "দুম্যে” ও “ঝুনা” নারিকেল খাদ্য হিসাবে মূল্যবান। আমি স্বয়ং saşsfērā atzītąfăș fāzesąsi ( Chemical analysis ) ffHtfE ইহাদের শাসে তৈলাক্ত পদার্থ প্রচুর আছে। বাঙ্গালীর ঘরে এখন ঘি একপ্রকার দেখাই যায় না, আর তৈলও যাহা ব্যবহার হয় তাহা কলের । কিন্তু এই নারিকেল কোরায় যথেষ্ট তৈলাক্ত উপকরণ বিদ্যমান ; এমন কি ইহাকে স্কৃতের বিনিময় ( Substitute ) বলা যায় । নারিকেল কোরা গালিয়া যে "দুধ’ বাহির হয় তাহাতে আমড়া দিয়া উত্তম অম্বল তৈয়ার হয় এবং নারিকেলের যে সমস্ত মেঠাই—রসকরা, চন্দ্রপুলি যেমন মুখরোচক তেমনি খাদ্য হিসা’ে পুষ্টিকর। অবশু এখনও পাড়াগায়ে ইহার চলন আছে, বিস্তু সহরের শিক্ষণ ও সভ্যতাভিমানী বাঙ্গালী-যুবকগণের কপাল পুড়িয়াছে ; তাহারা ডাবের জলটুকু খাইয়। আসল জিনিষটা ফেলিয়া দেন ; এমন যে সুন্দর ‘নেওয়াপাতি তাহ আস্তাকুড়ে নিক্ষিপ্ত হয়। এই প্রকারে দেখা যায় কলিকাতার এক একটা ডাবের দোকানে স্তুপীকৃত ছেদ করা ডাব গড়াগড়ি যাইতেছে । এমন রুচির বিকার হইয়াছে যে, ডাব কাটিয়া তাহার শাস খাইলে পাছে লোকে ছোটলোক বলে এই ভয়ে আসল জিনিষটুকু খাইতে সাহস হয় না। হায়রে বাঙ্গালী ! তুমি কি! কুগ্রহের পাকে সকলই হারাইভে বসিয়াছ ! .عي . . . নারিকেলের প্রস্তুত মিঠাই খাওয়া এখন সহরে এক প্রকার ফ্যাসন বিরুদ্ধ হইয় দাড়াইয়াছে এবং স্কৃতপক্ক নানাৰুিধ খাবার না হইলে চলে ন। এই স্কৃত যে কি তাহা বলাই বাহুল্য । ইহাতে খাটি স্বত