পাতা:আচার্য্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়ের প্রবন্ধ ও বক্তৃতাবলী.djvu/৩৯৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

హి ఏ চা-পান ল বিক্রপাল - জিলা খুলনার দক্ষিণাংশের নদ-নদীতে এক প্রকার মৎস্য দেখিতে পাওয়া যায়, তাহার নাম ‘গাগড়া’ । জনসাধারণ এই মৎস্তকে ‘হাবা বলিয়াও অবিহিত করিয়া থাকে । এই শ্রেণীর মৎস্তের বিশেষত্ব এই যে, এই মৎস্যের সম্মুখে টোপ ফেলিলেই উহার টোপ দর্শনমাত্রেই গিলিয়া ফেলে, হিন্দুমাত্র ভাবনা-চিন্তা বা দ্বিধা বোধ করে না । আমার মনে হয়, সমগ্র বাঙ্গালী জাতি এই হাবার মত 'হাব' নামে অভিহিত হইবার উপযুক্ত ; কেন না, বিদেশীয়—বিশেষতঃ ইংরাজ বণিকের টোপ দর্শনমাত্রে গিলিতে অভ্যস্ত জাতি, বাঙ্গালীর মত ভূভারতে দ্বিতীয় নাই বলিলেও অত্যুক্তি হয় না । কেন, তাহ। বুঝাইতেছি । * এ দেশে ইংরাজ বণিকদিগের নানা কাজ কারবার আছে, তন্মধ্যে চা-বাগিচার বাণিজ্য অন্যতম। যে চা-বাগিচায় আড়কাঠিরা কুলী চালান করে এবং এদেশের কুলীরা যে সকল চা-বাগিচায় মাথার ঘাম পায়ে ফেলিয়া বাগিচার শ্রীবৃদ্ধিসাধন করে, অথচ যাহার ফলভোগ করে বিদেশীয় ইংরাজ বণিক, সেই সকল চা-বাগিচা ধনসম্পদের আকরভূমি—এক একটা ক্ষুদ্র রাজ্য বলিলেও হয় । ইংরাজ বণিক এমন অনেক চা-বাগিচা এদেশে গড়িয়া তুলিয়াছেন । এগুলি বৃহদায়তন জমিদারীবিশেষ, দার্জিলিঙ্গ, জলপাইগুড়ি ও আসাম প্রভৃতি অঞ্চলে এই জমিদারীগুলি অবস্থিত । এই সকল চা-বাগিচা হইতে বৎসরে কোটি কোটি মুদ্রার চা দেশবিদেশে রপ্তানী হইয়া থাকে। কিন্তু আকাজক্ষার তৃপ্তি নাই, ঘৃতাহুত হুতাসনের মত উহা ক্রমশঃই বৰ্দ্ধিত