পাতা:আচার্য্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়ের প্রবন্ধ ও বক্তৃতাবলী.djvu/৩৯৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চা-পান না বিষপান ? ৩৬৭ হয় ও ভীষণ চটচুট রবে জলিয়া উঠে। ইংরাজ কোম্পানীরা এই চা-চালানী ব্যবসায়ে রাজার রাজ্যের আয় উপভোগ করিতেছেন বটে, কিন্তু তাহাতেও তাঁহাদের আকাঙ্ক্ষার তৃপ্তি হয় নাই । তাহারা দেখিলেন, বাঙ্গালার পৌনে পাচ কোটা লোককে, পরস্তু সমগ্র ভারতের ৩. কোটা অধিবাসীকে চা-খোর করিতে পারিলে টাকার মাচায় বসিয়া টাকার ছিনিমিনি খেলা সম্ভবপর হয়—টাকার গাছ পুতিয়া চুণি-পান্নার ফল পাড়িয়া খাওয়া যায়। দুঃখ এই,—এই গর্দভ জাতি ( বাঙ্গালী বা ভারতবাসী) আপনার মুঙ্গল-ৰূঝে না! বুঝিবেই বা কিরূপে ? তাহারা যে নাবালক নালায়েক জাতি। না ইষ্টলে তাহারা এমন স্বৰ্গীয় স্থধার মৃত চা-পানের মর্ম্ম বুঝে না ? এই গ্রীষ্মপ্রধান দেশে এক পেয়াল চা-পানে কত তৃষ্ণ দূর হয় -সেই চা-পান না করিয়া তাহার পান করে কি না সরাই-কুঁজায় রক্ষিত শীতল পানীয় জল, সরবং, ঘোল, ডাব ? ছিঃ ছিঃ ! সাম্বন এইটুকু যে, বিলাত-ফেরত অথবা তথাকথিত শিক্ষিতদের মধ্যে চা-পানের প্রথা প্রচলিত হইয়াছে। ইহা মন্দের ভাল । কিন্তু সাবালক ইংরাজ বণিক নাবালক দেশীয়দিগকে ত চা-পানের সুখ হইতে বঞ্চিত রাখিতে পারেন না, কেন না, তাহারা যে এই নাবালক জাতির অভিভাবক ! অতএব তাহারা স্থির করিলেন ফুে હરું જ્ઞઃ চণ্ডু, চরস, গাজা, অহিফেনের মত চায়ের নেশাতেও নেশাখের করিতে হইবে। 影 তখনই চু-কুরদিগের সলাপরামর্শ জল্পনা-কল্পনা চলিল। সে মাজ ২০২৫ বৎসর পূর্ব্বের কথ। তখন লর্ড কার্জন ভারতের ভাগ্যবিধাতা বড় লাট । র্তাহার ন্যায় ‘ভারত-হিতৈষী’ ষে চা-করদিগের পরামর্শ মথিলিখিত সুসমাচারের মত হজম করিবেন, তাহাতে বিস্ময়ের বিষয় কিছুই নাই । লর্ড কার্জন চায়ের উপর কিছু সেস্ অর্থাৎ শুদ্ধ,