করতে পারলাম না। অথচ এদিকে রুচি আমাদের বড় সুমার্জ্জিত! অভাবের দিন হলেও দেশী কার্খানা থেকে ভাঁড়ে ওষুধ দিলে আমরা তা স্পর্শ করব না, সলিতা পাকিয়ে দের্কোর উপর রেড়ির তেলের প্রদীপ রেখে পড়তে বসব না। তাই জাপান ফট্ফটে চিম্নি আর শিশি বোতল জুগিয়ে আমাদের রুচির মান রক্ষা ক’রে লাখ লাখ টাকা নিয়ে গেল। গত মহাসমরে ইউরোপ যখন নিজের ঘর সাম্লাতে ব্যস্ত সেই সুযোগে জাপান পূর্ব্বাপেক্ষা দশ গুণ বেশী জিনিষ ভারতবর্ষে পাঠিয়েছে। এই সব কারণে বলি প্রদর্শনী দেখতে মন উঠে না—আনন্দ হয় না | কিন্তু তবু প্রদর্শনী হওয়া চাই, কারণ তা হলে জান্তে পার্ব রোগ কি এবং তা দেহযন্ত্রের কোন্ স্থান পর্যন্ত সঞ্চারিত হয়েছে। প্রদর্শনীর আয়োজন কর্লে এই রোগ কতকটা ধরা পড়্বে। তখন ঔষধের ব্যবস্থার কথা ভাববার অবসর হবে।
যুবকবৃন্দ দেশের ভবিষ্যৎ আশাস্থল। তাঁদের ভেবে দেখতে বলি—আমরা আজ দাঁড়িয়েছি কোথায়, মধ্যবিত্ত গৃহস্থ আজ কি অবস্থায়! শিক্ষিত মধ্যবিত্ত সমাজের মেরুদণ্ডস্বরূপ; কিন্তু দারিদ্র্যের কঠোর নিষ্পেষণে সেই মেরুদণ্ড আজ ভেঙ্গে যাচ্ছে। এর শোচনীয় পরিণাম যে কি তা মনে হলেও হৃৎকম্প উপস্থিত হয়! উপার্জ্জনক্ষম মধ্যবিত্ত গৃহস্থের মাসিক আয় গড়ে ২৫৲ হ’তে ৩০৲ টাকা, কেউ বলেন ৩০৲ হ’তে ৩৫৲ টাকা। কিন্তু তাঁর পোষ্য অন্ততঃ পক্ষে পাঁচটি—স্ত্রী পুত্র আছে, কোথাও বিধবা ভগ্নী এবং তাঁর ছেলেপুলে আছে। সুতরাং এই স্বল্প আয়ে তাঁদের দুর্দ্দশার সীমা নেই। চালের মণ আজ ১০৲। ১২৲ টাকা, তেলের সের ১৲ টাকা, আর ঘি ত জোটেই না। আমরা রাসায়নিক, বাজার চলন ঘির উপাদান যে কি তা আমাদের জান্তে বাকী নেই, কিন্তু সে কথা আর নূতন করে বলতে চাই না। আর মাছ, দুধ, বাঙালীর