পাতা:আচার্য্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়ের প্রবন্ধ ও বক্তৃতাবলী.djvu/৮৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অল্পসমস্যা &&. নব্য যুবক চাকরীর উমেদারী না করে শিল্পেন্নিতির কাজে এবং ব্যবসা বাগ্নিজ্যে প্রবৃত্ত হন সর্ব্বত্রই আমার এই নিশান । 举

  • অন্নচিন্তা চমৎকার’—তাই আজ আমাদের জাতি বুদ্ধিহারা হয়েছে। কঠিন অন্নসমস্যার মীমাংসা করবার উদ্দেশ্বে বাঙ্গালী পিতামাতা পুত্রকে মাটিকুলেশন পাশের পর ছুটিয়ে দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের দিকে মুখ কুরে; এল্‌-এ, বি-এ পাশ করে ডিগ্রী নিয়ে ছেলে আঁচল বেঁধে টাকা আনবে, এই একটা মোহের ঘোরে। আশায় আনন্দে মুখের স্বপন দেখতে দেখতে ৭৮ বৎসর কাল এই আলেয়া পশ্চাৎ পশ্চাৎ ছুটে খুব জাকালরকম ডিগ্রী নিয়ে বাঙালী যুবক যখন’কলেজ, অধ্যাপক, আর্টস, সায়ান্স প্রভৃতির হাওয়া থেকে এসে একেবারে শক্ত মাটির পৃথিবীতে দাড়ান তখনই বুঝতে পারেন যে, এই বস্তুর হাটে তিনি নিতান্তই নিলম্বল—এ বাজারে কেনাবেচা করতে হলে যে যোগ্যতার দরকার, মন্ত্রীনাথের টীকায় বা এম্-এ ক্লাসের অধ্যাপকের পাশকরানো নোটে কোথায়ও তার সঙ্গে পরিচয় হয়নি। জীবনপথে পা দিয়েই এই যে একটা ধাক্কা লাগে, সারা জীবনে অনেকেই তা সাম্লে উঠতে পুারেন না। একটা নৈরাতের ছায়া এইখানেই ঘনীভূত হয় তারপর কেরাণী মাষ্টার, বা উকিল হয়ে গডডলিকা-প্রবাহে ভাসতে ভাসতে অভাবের পেষণে স্বভাব নষ্ট হয়, আর জীবনটা ক্রমে নৈরাশ্যপূরিত অন্তঃসারশূন্য অকাল বান্ধক্যে মুষড়ে পড়ে।. কিন্তু আমাদের ভুল কোথায় ?..কি উপায়েই বা ভ্রাস্তির অপনোদন হতে পারে? .

আজ এই জীবন-সন্ধ্যায় রসায়নের পরীক্ষাগার থেকে বাইরে এসে উৎকট অল্পসমস্ত সম্বন্ধে যদি আলোচনা আরম্ভ করে থাকি তবে আপনারা জানবেন সে নিতান্তই গ্রাণের দায়ে। বাঙালীর আজ পেটের দায়। স্বামী বিবেকানন্দ বলেছেন, “আগে পেট ভরে খাও, তবে ধর্ম্ম কর্ম্ম