নব্য যুবক চাকুরীর উমেদারী না ক’রে শিল্পোন্নতির কাজে এবং ব্যবসা বাণিজ্যে প্রবৃত্ত হন সর্ব্বত্রই আমার এই নিশান।
‘অন্নচিন্তা চমৎকারা’—তাই আজ আমাদের জাতি বুদ্ধিহারা হয়েছে। কঠিন অন্নসমস্যার মীমাংসা কর্বার উদ্দেশ্যে বাঙ্গালী পিতামাতা পুত্ত্রকে মাট্রিকুলেশন পাশের পর ছুটিয়ে দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের দিকে মুখ করে; এল্-এ, বি-এ পাশ ক’রে ডিগ্রী নিয়ে ছেলে আঁচ্লা বেঁধে টাকা আন্বে, এই একটা মোহের ঘোরে। আশায় আনন্দে সুখের স্বপন দেখ্তে দেখ্তে ৭।৮ বৎসর কাল এই আলেয়ার পশ্চাৎ পশ্চাৎ ছুটে খুব জাঁকালরকম ডিগ্রী নিয়ে বাঙালী যুবক যখন কলেজ, অধ্যাপক, আর্টস্, সায়ান্স প্রভৃতির হাওয়া থেকে এসে একেবারে শক্ত মাটির পৃথিবীতে দাঁড়ান্ তখনই বুঝ্তে পারেন যে, এই বস্তুর হাটে তিনি নিতান্তই নিঃসম্বল—এ বাজারে কেনাবেচা কর্তে হলে যে যোগ্যতার দরকার, মল্লীনাথের টীকায় বা এম্-এ ক্লাসের অধ্যাপকের পাশকরানো নোটে কোথায়ও তার সঙ্গে পরিচয় হয়নি। জীবনপথে পা দিয়েই এই যে একটা ধাক্কা লাগে, সারা জীবনে অনেকেই তা সাম্লে উঠ্তে পারেন না। একটা নৈরাশ্যের ছায়া এইখানেই ঘনীভূত হয় তারপর কেরাণী মাষ্টার, বা উকিল হয়ে গড্ডলিকা-প্রবাহে ভাসতে ভাসতে অভাবের পেষণে স্বভাব নষ্ট হয়, আর জীবনটা ক্রমে নৈরাশ্যপূরিত অন্তঃসারশূন্য অকাল বার্দ্ধক্যে মুষড়ে পড়ে। কিন্তু আমাদের ভুল কোথায়? কি উপায়েই বা ভ্রান্তির অপনোদন হতে পারে?
আজ এই জীবন-সন্ধ্যায় রসায়নের পরীক্ষাগার থেকে বাইরে এসে উৎকট অন্নসমস্যা সম্বন্ধে যদি আলোচনা আরম্ভ ক’রে থাকি তবে আপনারা জানবেন সে নিতান্তই প্রাণের দায়ে। বাঙালীর আজ পেটের দায়। স্বামী বিবেকানন্দ বলেছেন, “আগে পেট ভ’রে খাও, তবে ধর্ম্ম কর্ম্ম