বুঝিয়ে বল্বার দর্কার নেই—শুধু একটু ভেবে দেখার ওয়াস্তা। সকলেই হা অন্ন! হা অন্ন! ক’রে বেড়াচ্ছেন। এম্-এ পাশ কর্বার পর যখন কাজকর্ম্ম জোটে না তখন মনের দুঃখে বাঙালী যুবককে বল্তে শুনেছি—ফেল হ’লে ভাল হ’ত—তবু আর এক বৎসর দুশ্চিন্তার হাত হোতে নিষ্কৃতি পেতাম। চাক্রীর বাজার আগে ছিল ভাল বটে। ইংরেজ রাজত্বের প্রারম্ভ থেকে ইংরেজী শিখে বাঙালী চাক্রীই কর্ছে। শিক্ষিত যুবক আগে মুন্সেফী ডিপুটী হতে পার্তেন—গভর্ণমেণ্ট ও সওদাগরী আফিসে নানাপ্রকার কর্ম্ম জুট্ত। ইংরেজ যখন উত্তর-পশ্চিম প্রদেশ পাঞ্জাব ও বর্ম্মায় রাজ্যবিস্তার কর্লেন তখন বাঙালী সেখানেও গেল চাকরী কর্তে, আর মাড়োয়ারী, বোম্বেওয়ালা প্রভৃতি গেলেন ব্যবসা কর্তে। ডিগ্রী থাক্লে চাক্রীর বড় সুবিধা হ’ত; তাই তখন ডিগ্রীর একটা অকৃত্রিম মূল্য হয়েছিল। আর সেই কারণেই শিক্ষিত বাঙালীর চাক্রীই একধ্যান একজ্ঞান হ’য়ে উঠলো। কিন্তু এখন শিক্ষিতের সংখ্যা অনেক গুণ বেড়ে গেছে। এত চাক্রী জুটবে কোথা থেকে? অবস্থার পরিবর্ত্তনের সঙ্গে ব্যবস্থার সামঞ্জস্য করতে না পার্লে ঘটনাচক্রের পেষণে মর্তে হবে আমাদেরই। সুতরাং চাক্রীর পথ ছেড়ে অন্য পথ ধর্তে হবে।
এইস্থানে আমাদের বর্ত্তমান শিক্ষাপ্রণালীর একটু আলোচনা ক’রে দেখতে হবে। আমি বলেছি যে, আমরা চাক্রীর জন্য ডিগ্রীর চেষ্টা করি, আবার ডিগ্রীর জন্য এক টাকা মূল্যের পুস্তকের পাঁচ টাকা মূল্যের নানারকম নোট কিনে থাকি। এই যেন সেই বার হাত কাঁকুড়ের তের হাত বীচি। কেবল নোট মুখস্থ আর গৎ আওড়ান। কাজেই বিদ্যা আমাদের পুঁথিগত। ডিগ্রীলাভের এইরূপ চেষ্টায় মৌলিকতা নষ্ট হয় এবং প্রতিভার স্ফুরণ হয় না। পাশকরা ছেলে কার্য্যক্ষেত্রে নেমে