পাতা:আচার্য্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়ের প্রবন্ধ ও বক্তৃতাবলী.djvu/৯৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অন্ন সমস্যা ૭૮ مایہ تیمم سے بہ- بےمہمانہ بیبیسی همبنیه جمجسمی নেই ; দুশ্চিন্তাগ্রস্ত-মেয়ে সেয়ানা হচ্চে বিয়ে দিতে হবে-বরের বাজার আগুন f কিন্তু জীবনের প্রারম্ভে যারা সফলতার মুখ দেখেছেন সেই ইংরেজ ও মাড়োয়ারীকে দেখ-কত স্ফৰ্বি, কত আশা। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বেরিয়ে এসে পাঁচ বছরে আমাদের যুবকের ডিগ্রী ও চাকরীর মোহ ঘুচে যায়ু, ব্যর্থতা ও বিফলতা তাকে ঘিরে ধরে, অবসাদহিমে ডুবতে ডুব তে যৌবনেই তার জীবনগ্রন্থি শিথিল হয়ে পড়ে, অকালবাৰ্দ্ধক্যের চিহ্ন দেখা যায়। তাই বলি, প্রথম বয়সে আশা উৎসাহ ডিগ্রী নেবার চেষ্টায় নিঃশেষ ক’রে না দিয়ে আত্মচেষ্টার উপর নির্ভর ক’রে বেরিয়ে পড় দ্রব্যসম্ভারপূর্ণ প্রকাও હરે দেশে, যেখানে ছয়শেকোটি টাকা মূল্যের দ্রব্য প্রত্যেক বৎসরে আমদানী-রপ্তানি হচ্ছে। এই প্রকাণ্ড ব্যবসায়-ব্যাপারের সব মুনাফা ইংরেজ, জর্ম্মান, জাপানী প্রভৃতি বিদেশীরা এবং ভারতের ভাটিয়া, দিল্লীওয়ালা, মাড়োস্কার প্রভৃতি বণিকগণ নিজেদের মধ্যে বণ্টন ক’রে নেয় । বাঙলা দেশের প্রধান সহর কলকাতার বাসিন্দাদের শতকরা ৩৫ জন বাঙালী নয়। ইংরেজ, জাপানী, চীনা এবং হিন্দুস্থানী মাড়োয়ারী প্রভৃতি কলকাতার সর্বত্র বসতি বিস্তার করেছেন । ছোটখাট শ্রমসাধ্য কার্য্যগুলি পর্য্যন্ত বাঙালীর হাতছাড়া হয়ে গেছে। যুদ্ধের সময় মাড়োয়ার অজস্র টাকা লাভ করেছেন। কলকাতার ব্যবসায়ে তাদের কোটা কোটা টাকা খাট্‌ছে। উদ্ধৃত্ত টাকায় তার বড় বড় জমিদারী কিনতে আরম্ভ করেছেন ; শীঘ্রই মাড়োয়ারী বণিক কলকাতার সব বাড়ীর মালিম হবেন স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে। আর বাঙলাদেশে বাঙালী আমরা হতাশ হয়ে, নিরুপায় হয়ে বসে আছি । আমাদের এখন উঠে পড়ে লাগতে হবে, এই ভয়ঙ্কর অন্নসমস্তার মীমাংসা করতে হবে। যে শিক্ষায় শুধু মেরুদণ্ডহীন গ্রাজুয়েট তৈরী হয়, ম্যুত্বের সঙ্গে পরিচয় হয়