না, যে-শিক্ষা আমাদের ‘ক’রে খেতে’ শেখায় না, দুর্ব্বল অসহায় শিশুর মত সংসারপথে ছেড়ে দেয়, সে-শিক্ষার প্রয়োজন কি? তাই আমি জীবনে কঠোরতার আশ্রয় ক’রে বাঙালী যুবককে ব্যবসায় বাণিজ্য ও শিল্প শিক্ষা কর্তে আহ্বান করছি; কারণ, বাঁচতে হলে বাঙালীকে আগে অন্নসমস্যার মীমাংসা কর্তে হবে। এতে যদি কেউ দোষ দেন যে আমি বাঙলার যুবককে মাড়োয়ারী হতে উৎসাহিত কর্ছি তবে সে দোষে আমি দোষী সন্দেহ নেই। যাদের দেশে লক্ষ লক্ষ মণ ধান ও পাট উৎপন্ন হয় ও সেই উৎপন্ন দ্রব্য একহাত থেকে আর একহাতে তুলে দিয়ে মাড়োয়ারী প্রভৃতি বণিক্গণ মাঝে থেকে প্রচুর অর্থ উপার্জ্জন করেন আর সেই দেশের যুবকেরা ‘হা অন্ন’ ‘হা অন্ন’ ক’রে কেঁদে বেড়ান, ধিক্ তাদের লেখাপড়াকে! ধিক্ তাদের ইউনিভার্সিটির ডিগ্রীকে! লেখাপড়া কর, মহামনীষীগণ যে-সকল তত্ত্ব লিপিবদ্ধ ক’রে গেছেন তার সঙ্গে সাক্ষাৎভাবে পরিচয় লাভ কর, চিন্তা কর, মানসিক শক্তি ও মৌলিকতাকে বিকশিত কর, কিন্তু অন্য শত পথ পরিত্যাগ ক’রে জীবিকাঅর্জ্জনের জন্যে জ্ঞানশূন্য হয়ে ডিগ্রীর লোভে ঐ ইউনিভার্সিটির মুখে ছুটো না।
ইংলণ্ডে যে-সকল বিশ্ববিদ্যালয় আছে তার মধ্যে কতকগুলির নাম করা যেতে পারে যা শিল্পবাণিজ্যের কেন্দ্রস্থলে স্থাপিত হয়েছে। যথা ম্যাঞ্চেষ্টার, বার্মিংহাম, লিডস্, শেফিল্ড, লিবারপুল প্রভৃতি শিল্পকেন্দ্রে প্রতিষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়সমূহ। এক-একটি ইউনিভারসিটি এক-একটি কলেজের মত, হাজার দেড় হাজার ছাত্র সেখানে অতি যত্নে শিক্ষা লাভ ক’রে থাকে; এখানকার মত স্থানাভাবে ঠেলাঠেলি বা মারামারি করতে হয় না। প্রত্যেক বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় ৯০ লক্ষ অথবা ১ কোটি টাকা দেওয়া (Endowment) আছে। সেই অর্থ