বন্দোবস্ত করে দিতেন তারাও অনেকে ব্রেড লাইনের সঠিক খবর রাখতেন না। আমি অনেক বেকার বৃদ্ধ মজুরদের সংগে কথা বলেছি। তারা আমাকে বলেছে তাদের অতীত জীবনের কথা। সেই কথা যখন আমি শুনতাম তখন বড়ই মর্মবেদনা পেতাম। একজন বিল্ডার (রাজমিস্ত্রি) বললেন, তিনি সারা জীবন বড় বড় বিল্ডিং তৈরী করেছেন, এমনকি সেদিনও যখন পৃথিবীর সবচেয়ে উঁচু ইম্পিরিয়েল বিল্ডিং তৈরী হয়েছিল তাতেও তিনি কাজ করেছেন। আজ তিনি কর্মে অক্ষম তাই তাঁকে ব্রেড লাইনে দাঁড়িয়ে শেষের দিনের অপেক্ষা করতে হচ্ছে। আমেরিকাতে যারা প্রগতিশীল মত ও পথ বেছে নিয়েছে তারা কিন্তু এরূপ ব্রেড লাইনের পক্ষপাতী নয়, তারা বৃদ্ধ বয়সের পেনসনের পক্ষপাতী। নিউইয়র্ক ষ্টেটে বৃদ্ধ বয়সের যে পেনসন দেওয়া হয়, তা শুধু ব্রেড লাইন থেকেই পাওয়া যায়।
সমাজের কাজে এসব মজুরের কোনো দান আছে কি না তা কেউ বুঝতে চায় না কারণ এসব মজুরের কাজের কোন তালিকা রাখা হয় নি। এজন্যই এরা বৃদ্ধ বয়সের পেনসন পাচ্ছে না। অথচ আমেরিকার ধনীরা যখন গমের দাম ঠিক ঠিক মত পায় না, তখন তারা গম পুড়িয়ে ফেলে। চিনি নষ্ট করে দেয়। বাগানের ফল বাগানে পচে। এরকম মজার দেশ আর কোথায় আছে? অথচ এরাই সোভিয়েট রূশের বিরুদ্ধাচরণ করে বেশি।
আমি জানি না, কোন ভারতীয় পর্যটক আজ পর্যন্ত ফাদার হফ্কিনের নাম এদেশে এসে বলেছেন কি না। আমি কিন্তু সে নামটি একদম মুখস্থ করতে বাধ্য হয়েছিলাম। তার নাম শুনলে আমার আতংক হত এমনকি অনেকদিন তার নাম ভুলবারও চেষ্টা করেছিলাম। ফাদার হফ্কিন কর্মতালিকা যখন তার লোকজন প্রচার করত তখন তা আমি শুনতাম