পাতা:আজকের আমেরিকা.djvu/১২৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
আজকের আমেরিকা
১১৩

রাতের বেলা হারলামের কাছে হার মানে। রাত্র যখন অধিক হয় তখন অন্যান্য স্থানের লোক হারলামের দিকে আসতে থাকে। তখন হারলাম হয় ভূস্বর্গ। সত্যই হারলাম ভূস্বর্গ। ভূস্বর্গে বসতি ক্রমে বেড়ে চলেছে। পূর্বে ভূস্বর্গের সীমানা ছিল ১০৪ স্ট্রীট পর্যন্ত, বর্তমানে হয়েছে ১০৮ স্ট্রীট। ক্রমেই এর সীমা বাড়ছে দেখে ফাদার হফ্‌কিনের মন কেঁপে উঠছে এবং ফাদার ডিভাইনএর আনন্দ বাড়ছে। উভয়েই খ্রীষ্টধর্মপ্রচারক। উভয়েই ইহুদী এবং কমিউনিস্ট বিদ্বেষী। অথচ উভয়ের মধ্যে মতের মিল নাই। ফাদার হফ্‌কিন চান নিগ্রোদের নিপাত করে সাদা চামড়াদের একাধিপত্য বিস্তার করতে, শুধু আমেরিকায় নয় পৃথিবীর সর্বত্রই। ফাদার ডিভাইন কিন্তু সেরূপ কিছু চান না, তবে তিনি নিগ্রো নিপাত মোটেই পছন্দ করেন না।

 ইটালি যখন আবিসিনিয়া আক্রমণ করল তখন হারলামের নিগ্রোরা আবিসিয়ান্‌দের সাহায্য করবার জন্য প্রাণপণ চেষ্টা করেও কিছু করে উঠতে পারে নি। ফাদার হফ্‌কিন তখন সুর উঠিয়েছিলেন, আমেরিকার অর্থ যদি এমন করে বিদেশে চলে যায় তবে দেশের দুর্গতি হবে। ‘অ্যাম্‌স্টারডম নিউজ’ সেই হফ্‌কিন যুক্তিকে খণ্ডন করার জন্য নানা যুক্তি দেখিয়ে নানা প্রবন্ধ লিখেছিলেন। ‘নিউ ইয়র্ক টাইমস’ তার প্রতিবাদ করে পাল্টা প্রবন্ধ লিখেছিলেন। সংবাদপত্রগুলি যতই বাগযুদ্ধে মাতোয়ারা হল, নিগ্রোরা ততই দুঃখিত হয়ে গির্জায় গির্জায় হাবসী সম্রাটের জন্য প্রার্থনা করতে লাগল। হাবসী সম্রাটকে সাহায্য করবার কথা ভুলে না গিয়ে পুরাদমে তারা অর্থ জমাতে লাগল। ফাদার হফ্‌কিন হঠাৎ একদিন ঘোষণা করে দিলেন, বর্বর সম্রাট হাইলে সেলাসিকে আমেরিকা কোনওরূপ সাহায্য করতে পারবে না। নিজের শক্তি দেখাবার জন্যে কতকগুলা ভাড়াটে গুণ্ডাকে তিনি গির্জায় গির্জায় পাঠিয়ে