পাতা:আজকের আমেরিকা.djvu/১৩৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১২৪
আজকের আমেরিকা

কে না জানে? বাংলা দেশের ধনী, জমিদার এবং উপশাসকদের সংগে পোল্যাণ্ডের সমূহ মিল আছে সেজন্যই পোল্যাণ্ডের কথা বাদ দিয়ে আমেরিকার কথা বলাই দরকার।

 আজ যাকে গ্যাথো বলা হচ্ছে গতকল্য এই স্থানটুকুকেই ব্রন্‌জ বলা হ’ত। এখনও লোকে অফিসিয়েল মতে গ্যাথোকে ব্রন্‌জই বলে। ব্রন্‌জে ইহুদী থাকে না, খৃষ্টানও থাকে। এখানকার খৃষ্টানরাও দরিদ্র। খৃষ্টান যুবতীরাও এখানে শরীর বিক্রী করতে বাধ্য হয়। ফাদার হফ্‌কিন, ফাদার ডিভাইন তারা শুধু মুখে মুখেই লোক সেবা করছেন কিন্তু তাদের মস্তিষ্ক এতই উর্বর যে, কি করে এই জঘন্য বারবনিতাবৃত্তি ব্রন্‌জ হতে লোপ পায় তার ব্যবস্থা করতে অসমর্থ। এখানে ইহুদীরা দরিদ্রতা সংগে করে নিয়ে আসেনি যাতে করে তাদের দোষ দেওয়া যেতে পারে। ইহুদীরা এখানে আসার পূর্বে খৃষ্টানরাই এখানে বাস করত, তবে কেন এদের এই দুর্দশা? এই দুর্দশার জন্য আমেরিকার ধনীরাই দায়ী।

 ব্রন্‌জ হতে ফিরে আসতে অনেক রাত হয়েছিল। তবুও ইচ্ছা হছিল আরও দেখি। আরও লোকের সংস্পর্শে আসি। কিন্তু ঠাওর করে উঠতে পারছিলাম না কোনটা দেখতে হবে, কোন বিষয়টা জানতে হবে। টাইম্‌স্ স্কোয়ার কাছেই। টাইম্‌স্ স্কোয়ারটা দেখে আসবার ইচ্ছা হল। সেদিকে একটু বেড়াবার পর এক জন পূর্তরীকোবাসীর সংগে দেখা হয়। লোকটি বেশ বিদ্বান্‌ এবং বুদ্ধিমান। তাকে নিয়ে সোজা ঘরে চলে আসলাম এবং পুর্তরীকোতে আমেরিকানরা কেমন শাসন চালাচ্ছে তারই কথা জিজ্ঞাসা করতে লাগলাম।

 পুর্তরীকোবাসিন্দা ভদ্রলোককে দেখতে অনেকটা বাংগালীর মতই দেখায়, তবে তাঁর চুল অনেকটা নিগ্রোদের মত। তিনি নিজেই বললো “যদিও আমার শরীরের গঠন অনেকটা আপনার মতই, তবুও মাথার চুল