করল তখন দাসব্যবসা একদম উঠিয়ে দিয়ে আমাদের সমূহ উন্নতি করতে থাকে। পুর্তরীকো পার্বত্যদেশ। এদেশে জমির বড়ই অভাব। আমরা আমেরিকার গমের উপরই নির্ভর করি। আমাদের লোকবল নাই এবং যা আছে তাদের শিক্ষাও তেমন নাই যাতে করে আমরা আমেরিকাকে ছেড়ে দিয়ে একদিনও টিকতে পারি।
আমাদের দ্বীপে যে সকল আমাদের কাজ করে তাদের মাইনের সংগে আমাদের মাইনের কোন প্রভেদ নাই। আমরা যখন আমেরিকায় আসি তখন আমেরিকানদের সংগে থাকতে পাই, যা স্থানীয় নিগ্রোরা পায় না। আমেরিকার বাইরে থেকে যদি কেউ আমেরিকানদের সমান মজুরী পায় তবে আমরা পাই এবং ফিলিপাইনোরাও পায়। ফিলিপাইনোরা স্বাধীন হবার উপযুক্ত কারণ তাদের লোকবল, এবং তাদের দেশের মাটির নীচে এবং উপরে দরকারী জিনিস পাওয়া যায়। আমাদের দেশে আম, কাঁটাল ছাড়া আর কিছুই পাওয়া যায় না। শুধু আম কাঁটাল বিক্রি করে কি আমরা বাঁচতে পারি? আমরা আমেরিকার ঘাড়ে উঠে বসেছি, কোন মতেই আমরা আমেরিকার ঘাড় হতে নামব না। আমেরিকার অসৎ লোক গলা ফাটিয়ে চিৎকার করুক, তাদের কথা কে শুনে?
বাস্তবিক পুর্তরীকো দ্বীপ হতে আমেরিকার কোন লাভই হয় না। পিমীর এবং স্কট্রা নামক দ্বীপ দুটি রক্ষা করার জন্য বৃটিশ সরকার যেমন বিনা দ্বিধায় টাকা খরচ করেন, তেমনি আমেরিকাও পুর্তরীকো দ্বীপটির রক্ষণাবেক্ষণ করার জন্য প্রচুর অর্থ ব্যয় করতে বাধ্য হল। আসলে পুর্তরীকো দ্বীপ কখনও একটি ব্যবসায়ের স্থান হবে না।
পুর্তরীকো ভদ্রলোক সে রাতটি আমারই সংগে কাটিয়ে পরের দিন হতে আমার ঘরে রীতিমত আসতে থাকেন এবং তাঁর সাহায্যে আমি