পাতা:আজকের আমেরিকা.djvu/১৪২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
আজকের আমেরিকা
১৩১

হয়েছিল। নিউইয়র্ক নগরের বড় বড় বিল্ডিংএর একটি বিজ্ঞপ্তি পত্র আছে। সেই বিজ্ঞপ্তি পত্র অনুযায়ী নিউইয়র্ক নগরের দ্রষ্টব্য স্থানগুলি ভবিষ্যতের পর্যটকগণ যদি দেখেন তবেই ভাল হবে কারণ বিজ্ঞপ্তি পত্রের অদল বদলও হতে পারে।

 রেডিও সিটি দেখে মনে একটা কি ভাব হল তা বলতে পারি না। একদম রুমে এসে মিঃ ও মিসেস মুখার্জির কাছে পত্র লিখেই তা পোস্ট করলাম এবং সাইকেল বের করে ছোট ঝোলাটি কেরিয়ারে বেঁধে সটান চিকাগোর পথে এসে দাঁড়ালাম।

 আজ আমি নিউইয়র্ক হতে বিদায় নিব।

 চিকাগো নিউইয়র্ক হইতে অনেক দূরে। হাজার মাইল পথ চলে যাব কয়েক দিনের মাঝে ভেবে পথে বেরিয়েছিলাম কিন্তু আমার মনে হল না আমাকে একটি বৃহৎ সেতু পার হতে হবে। এরূপ সেতু পৃথিবীতে আর নাই বললেও চলে। উপর দিয়ে চলেছে এলিভেটর, তার নীচে চলেছে মোটরগাড়ির লহর। মিনিটে মিনিটে সেতুর নীচে ফেরী বোটগুলির চিমনিগুলি উপরের পথিকদের নাকমুখ ধোঁয়া দিয়ে কালো করে দিয়ে চলে যাচ্ছে। সে দৃশ্য অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে দেখবার ইচ্ছা ছিল, কিন্তু হল না, হতে পারে না। চলতে হবে, নতুবা পথ বন্ধ হয়ে যায়, ঘাড়ের উপর লোক এসে পড়ে। সেতু পার হয়ে গিয়ে একটা ফাঁকা স্থানে এসে চোখ ভরে নিউইয়র্ক নগরের রূপ দেখতে লাগলাম। নগরের পরিচিত বন্ধুদের বলে আসিনি কোথায় যাব। তাই কাছের একটি মোটর স্ট্যাণ্ড হতে ফোন করে বাড়িওয়ালীকে আমার পথের নির্দেশ দিয়ে জানলাম, “আজ যদি কেউ আমার সংগে সাক্ষাৎ করতে আসে, তবে জানাবেন আমি কোন্‌পথে গিয়েছি।” বাড়িওয়ালী আমাকে জানালেন যে, এরই মাঝে কয়জন লোক এসে চলে গেছে এবং বলে