পাতা:আজকের আমেরিকা.djvu/১৪৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৩২
আজকের আমেরিকা

গেছে আবার তারা আসবে। বাড়িওয়ালীকে জানালাম, ওয়ার্ল্ড ফেয়ারের কাছেই কোথাও রাত্রি কাটাব, এবং ঠিকানা জানালে যেন বন্ধুবান্ধবদের তিনি জানিয়ে দেন। বাড়িওয়ালী গুডবাই বলে রিসিভারটা রেখে দিলেন। এতদিনের পরিচয় নিমেষে কেটে গেল। একেই বলে পথপ্রবাসের বন্ধুত্ব।

 পুরাতনের সামনেই যদি নতুন কিছু থাকে তবে পুরাতনের জন্য আপশুষ করতে হয় না। আমার সামনে সবই নতুন। পাশের দৃশ্যটি নতুন। হাজার হাজার মোটরকার পার্ক করা রয়েছে। দূর থেকে দেখলে মনে হয় যেন বৃহৎ কতকগুলি কচ্ছপ রৌদ্রে আরাম করে বসে আছে। শুধু কি তাই? অগণিত নরনারী বিশ্বমেলা দেখার জন্য আগিয়ে চলেছে। তাদের দুদিকের ঘরগুলি তত সুন্দর নয়। দরিদ্র লোক সেই ঘরগুলিতে থাকে। তারা সকলেই কাজে চলে গেছে নতুবা এত নির্জনতা অনুভব হবে কেন? লোকাকীর্ণ পথের দুদিকের দৃশ্য মোটেই সুন্দর নয়। এ স্থান পূর্বে আমি এসে দেখে গিয়েছিলাম, সেজন্যই এই দরিদ্র বাসিন্দার প্রতি একটা সহানুভূতি আপনি মনে জেগে উঠছিল। এখানে হট্‌ কেইস পাওয়া যায় না, প্যরেজ এবং অন্যান্য সুখাদ্য এখানকার রেস্তোরাঁয় পাওয়া যায় না, তার কারণ সকলে জানেনা। যারা জানে তারা সেকথা মুখ খুলে বলে না। বলবার উপায় নাই। আমেরিকার ভাড়াটে সাহিত্যিক মজুর শুধু ধনীদের মন যুগিয়েই প্রবন্ধ লেখে। যখনই এই সাহিত্যিক মজুরগণ বেঁকে বশে এবং তাঁদের মনমত লেখতে আরম্ভ করেন তখন দেখতে পান তাঁদের প্রবন্ধ আমেরিকার কোনও সংবাদপত্রে স্থান পায় না। আমেরিকানরা আমাদের মত অল্পে তুষ্ট হবার লোক নয়। তারা টাকা প্রচুর চায় কারণ খরচ এন্‌তাহার করতে বাধ্য হয়। আর যারা নিজকে সংযত করে