পাতা:আজকের আমেরিকা.djvu/১৪৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
আজকের আমেরিকা
১৩৫

নিয়ে। আমি তাদের কথায় মাঝে মাঝে সায় দিচ্ছিলাম, কিন্তু আমার মন ছিল ওয়ার্ল্ড ফেয়ার-এর দিকে। খাওয়া সমাপ্ত করে বিশ্বমেলা দেখতে বার হলাম।

 সুন্দর রাত। অনেক দর্শক জুটেছে। দর্শকদের মাঝে যারা “হিচ-হাইক” করে এসেছে, তাদের লোটাকম্বল ঘাড়ে বাঁধা দেখলেই চিনতে পারা যায়। তাদের দু-একজনের সংগে কথাও হল। অনেকে “হিচ-হাইক” করে কালিফরনিয়া হতে এসেছে। আমার ইচ্ছা হল আমিও “হিচ-হাইক” করে পর্যটন করি। এতে দেখবার সুযোগ আরও হবে। অনেক চিন্তা করে “হিচ-হাইক” করা ঠিক করে বিশ্বমেলা দেখতে গেলাম। নিউইয়র্কএর বিশ্বমেলা দেখতে আমাদের দেশের দুজন মহারাজা গিয়েছিলেন। তাঁদের বিশ্বমেলা দেখার জন্য সুন্দর বন্দোবস্ত হয়েছিল। তাঁরা যখন মেলা দেখতেন তখন তাঁদের পেছনে বহু লোক চলত। তাঁরা নূতন ধরনের রিকশায় বসতেন। তাঁরা ইচ্ছামত জিনিসপত্রও কিনতেন। তাঁদের বদান্যতা এবং মুক্তহস্ততার জন্য লোকে ভারতবাসী মাত্রকে ধনী বলেই কয়েক দিনের জন্য মেনে নিয়েছিল। কিন্তু আমাদের মত দরিদ্রের আগমনে ভারতের ভয়ানক বদনাম শুরু হল। আমেরিকান পর্যটকদের দেখে পৃথিবীর লোক যেমন ভাবে আমেরিকায় লোক সবাই ধনী, আমাদের দেশের রাজা মহারাজাদের দেখেও পৃথিবীর লোক ভাবে আমরাও সকলেই ধনী। আমেরিকার গভর্ণমেণ্ট তাদের দেশে যাতায়াতের যে সব আইন-কানুন করে রেখেছেন, তাতে সেখানে শুধু ধনীদেরই যাওয়া চলে। যারা গরীব তারা সেই অধিকারে বন্‌চিত।

 বিশ্বমেলায় পৃথিবীর প্রায় সকল স্বাধীন দেশ থেকেই প্রদর্শনী খোলা হয়েছিল। আমেরিকার প্রত্যেক ষ্টেটও তাদের প্রদর্শনী খুলেছিল। এ