পাতা:আজকের আমেরিকা.djvu/১৮০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
আজকের আমেরিকা
১৬৫

ভারতে পোস্ট অফিস যেরূপ সহজে পরিচয়পত্র দিয়ে থাকে, এরূপভাবে কেউ কোনও পরিচয়পত্র দিতে সক্ষম হয় না। কিন্তু আমেরিকায় পরিচয়পত্র পেতে হলে পনের মিনিট সময় লাগে। নিজের দুখানা ফটো নিয়ে যে কোনও পুলিস স্টেশনে হাজির হলেই হল। পুলিশ সর্বসাধারণের চাকর। তাকে দেখতে হয় ফটো দুখানা এই লোকের কি না, তার মুখে কিংবা প্রকাশ্য স্থানে কোনও দাগ আছে কি না। এই দুটা ফটো দেখেই সরকারী পরিচয় পত্র দিয়ে দেওয়া হয়। কলনিয়েল পুলিসের প্রবচনতুল্য অশিষ্ট ব্যবহারে অভ্যস্ত আমরা, আমেরিকার পুলিসের শিষ্ট ও সুন্দর ব্যবহারে বিস্ময়ে অভিভূত না হয়ে পারি না। কি সুন্দর সদ্‌ব্যবহার আমেরিকার পুলিশের! আমার সংগীদের পরিচয়পত্র আধ ঘণ্টার মধ্যে হয়ে গেল। তারপর আমরা চললাম গ্রে হাউণ্ড বাস কোম্পানির বাসকে পিছনে রেখে। স্লটর রাস্তায় ঘণ্টায় ষাট মাইল বেগে গাড়ি চালাবার অধিকার আছে। কিন্তু আমাদের গাড়ি চলেছে ঘণ্টায় সত্তর-আশি মাইল করে। গাড়ি চলছে তো চলছে। মাঝে মাঝে ঈট্‌স্‌ (Eats) সাইন বোর্ড দেওয়া আছে। এসব খাবারের দোকানে সকল রকমের খাদ্য সকল সময় সুপক্ক অবস্থায় মজুদ থাকে। খাবার পাক করে বরফের বাক্সে রেখে দেওয়া হয়। গ্রাহক যাবামাত্র গ্যাসের উনুনে গরম করে খেতে দেওয়া হয়। এসব খাদ্য উপকারী এবং সুস্বাদু।

 ঈট্‌স্‌ ঘরগুলিতে কোনও পারিপাট্য নাই, বিজলী বাতির ছড়াছড়ি নাই। দোকানী প্রায়স্থানেই পুরুষ। পুরুষগুলি শুষ্ক বদনে দণ্ডায়মান। দেখলে মনে হয়, হাসবার শক্তি ওদের লোপ পেয়েছে সব সময়েই যেন সন্ত্রস্ত, কিন্তু সুযোগ পেলেই দুর্বলের উপর হামকি তুমকি করতে ছাড়ে না। আমার পাসপোর্ট বেশ ভাল করেই পরীক্ষা করা হচ্ছিল,