পাতা:আজকের আমেরিকা.djvu/১৮৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৭২
আজকের আমেরিকা

দোকানী চাঁদার পয়সাগুলি গুণে নেবার সময়ই যিনি চাঁদা দিলেন তার ঠিকানার একখানা কাগজও সে সংগে দিয়ে দেয়। চাঁদা কত দিল তাও কাগজের টুকরায় লেখা থাকে। চাঁদা আদায় হয় বেলা বারটা পর্যন্ত। তারপরই চাঁদা আদায়কারী সেদিনের চাঁদা বাবদ কত টাকা হয়েছে তাই একটার মধ্যে যথাস্থানে জানিয়ে দেয়। বিকালের চারটার সময় যে কোন শস্তা সংবাদপত্র কৌশলে কোন এলাকার কে সেদিন লটারী পেল তাই জানিয়ে দেয়। এমন সুন্দর এবং সহজ ভাবে এতবড় একটি বেআইনী কাজ পৃথিবীর অতি কম স্থানেই হয়। এসব করতে লোকবল এবং অর্থবল যেমন থাকা চাই তেমনি থাকা চাই একে অন্যের প্রতি বিশ্বাস।

 যার ঘাড়ে একবার এই ভূত চেপে বসে সে সহজে এ ভূতকে নামাতে পারে না। এপ্রোভার হয়ে রক্ষা পাবার উপায় থাকে না, ইন্‌ফরমারের স্থান সেখানে নাই। একেই বলে কর্মতৎপরতা এবং সাহসের পরিচয়। এরূপ লটারী পদ্ধতি দক্ষিণ আফ্রিকার কেপটাউনে আছে এবং আমেরিকার অনেক নগরে চোখ থাকলেই দেখতে পাওয়া যায়।

 সুখের বিষয় আমার সাথীরা সে রকমের লোক ছিলেন না, বাস্তবিকই তাঁরা কাজের খোঁজে বেরিয়েছিলেন।

 গ্রে হাউণ্ড বাস কোম্পানির স্টেশনের পেছনে একখানা পাঁচতলা বাড়ি, সেখানে অনেক যাত্রী সময়ে অসময়ে গিয়ে থাকে। এই হোটেলে কালো চামড়ার প্রবেশ নিষেধ নাই। বিনা আপত্তিতে একটি ঘর ভাড়া পাবার অধিকার পেয়ে অনেকটা শান্তি বোধ করলাম। হোটেলে রাত্রিবাস করবার উপযোগী একটি রুমের জন্য ভাড়া দিতে হয় এক ডলার। ঘরটার দরজা জানালা খুলে দিয়ে শহরের সৌন্দর্য দেখতে লাগলাম। এমন সৌন্দর্য আমেরিকাতেই শুধু দেখা যায়। পৃথিবীর কত জায়গাতেই