পাতা:আজকের আমেরিকা.djvu/১৯৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।



১৮২
আজকের আমেরিকা

নাই। কেরানীর কাজের কথা এখানে বলা হচ্ছে না। আমেরিকায় কোন পুরুষ লোক কেরানীর কাজ করে না। জুতা পরিষ্কার করা, পথ পরিষ্কার করা, কাপড় কাচা, নাপিতের কাজ, চাষার কাজ, ফেক্টরী মজুরের কাজ এসব কাজই ভারতবাসীরা চায়।

 সংবাদপত্রের রিপোর্টারকে বিদায় দিয়ে শ্রীযুক্ত দেবকে সংগে নিয়ে কাছেরই একটা থিয়েটার হলে গেলাম। সিঁড়ি ভয়ানক অপরিষ্কার ছিল। হলের চেয়ারগুলা অনেক দিনের পুরাতন। সভাপতির আসনের পিছন দিকের দরজার কাচ ভাংগা ছিল। দিবালোক তা দিয়ে ঢুকে এমন ভাবে শ্রোতাদের চোখে মুখে পড়ছিল যে, সে আলোর দিকে পিছন ফিরে দাঁড়ালে সভাপতি বা বক্তার মুখই দেখা যায় না। রেষ্টরুমের (পাইখানা) অবস্থা এত কদর্য ছিল যে, সমস্ত হলটাতে তার দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়ছিল। যারা বক্তৃতা শুনতে এসেছিলেন তাদের পায়ের মোজা কতদিন যে ধোয়া হয়নি তার ঠিক নাই; পায়ের মোজা হতে দুর্গন্ধ বার হচ্ছিল। দুর্গন্ধের জন্য শ্রোতাদের কাছে বসা কষ্টকর হচ্ছিলl এরূপ শ্রোতা দেখতে পাওয়া যায় গির্জায়, যেখানে শ্রোতাদের কিছু খাবার খেতে দেওয়া হয়। চার্চের লেকচারে যদি খাওয়ার খেতে দেওয়া না হয়, তবে লোক চার্চে যেত কি না সন্দেহ। এই সভায় খাবারের কোনও বন্দোবস্ত ছিল না বরং শ্রোতাদের পকেটে হাত পড়বার সম্ভাবনা ছিল তবুও ঘরটা দেখলাম একেবারে লোকে ভর্তি হয়ে গেছে।

 যখন গিয়ে আমি গ্যালারিতে দাঁড়ালাম, তখন অনেকেরই মনে খট্‌কা লেগেছিল। এরা ভেবেছিল আমি একজন নিগ্রো। লোকের সে চাহনিতেই তা বুঝতে পেরেছিলাম। নিগ্রো কি মানুষ নয়, তারা কি শিক্ষিত হতে পারে না? এই কথাটা নিয়েই অন্তত এক ঘণ্টা