পাতা:আজকের আমেরিকা.djvu/১৯৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।



১৮৪
আজকের আমেরিকা

বক্তৃতাদি আগাগোড়া ছাপিয়ে দেয়, তারা হল আমেরিকার ধনী সম্প্রদায়।[১] এই ধার্মিকরা অপরকে ঠকিয়ে ধনী হয়েছে, তাই চায় ধর্মযাজকদের ঘুষ দিয়ে একটু পারলৌকিক সদ্‌গতি সন্‌চয় করতে। তারা বড় বড় বিল্ডিং গড়ে দিচ্ছে এবং ধর্মযাজকদের সর্বতোভাবে সুখী রাখবার চেষ্টা করছে। যারা চোরের উপর বাটপাড়ি করে, তাদের মনের শক্তি অসীম। এই শক্তিই বোধ হয় ভারতের আধ্যাত্মিকতা।

 বক্তৃতার পর আমি পারিশ্রমিক চাই নি। সভাপতির কথায় গরীবরা পকেট খালি করে একটি টুপিতে ফেলতে লাগল আর বলতে লাগল, “আজ খাঁটী হিন্দুর কাছ থেকে পৃথিবীর অনেক সত্য সংবাদ শুনতে পেয়ে পকেট শূন্য করে ফিরতে দুঃখ নাই।”

 এখানকার নিগ্রোসমাজ বেশ বড়। শহরের একচতুর্থাংশ তাদেরই দখলে। তাদের বাড়িঘর আমেরিকানদের মত, তাদের চালচলনও সে রকমেরই। শিক্ষার দিক দিয়েও এরা খুব উন্নত। অনেক সময় দেখা যায় অনুপাতে শ্বেতকায়দের চেয়ে নিগ্রোরা বেশী শিক্ষিত। অর্থের দিক দিয়েও তারা দরিদ্র নয়। কোন অংশে কম না হলেও এরা হোটেলে শ্বেতকায়দের সংগে খেতে পায় না। শ্বেতকায়দের হোটেলে গিয়ে শুতে পায় না। এই ব্যবহারিক বৈষম্যের ফলেই এদের মাঝে দুর্বলতার সৃষ্টি হয়েছে। শ্বেতকায়রা প্রতি পদেই সেই দুর্বলতার সুযোগ নিয়েছে এবং সেই সুযোগ নেবার চেষ্টা করছে। নিগ্রো চাকরানী রান্না করতে পারে, বাসন মাজতে পারে, খাবার এনে টেবিলে দিতে পারে, পাশের ঘরে উত্তম শয্যায় শুতে পারে, মনিবের ছেলেমেয়েকে ঠেংগাতে পারে, অনেক সময় মনিবকে গাল দিতে পারে, কিন্তু ওই ঠেংগানো

  1. যীশুখৃষ্ট পুনরায় পৃথিবীতে অবতীর্ণ হয়ে সহস্র বৎসর কাল রাজত্ব করবেন এই মতে বিশ্বাসী।