পাতা:আজকের আমেরিকা.djvu/২০৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৯৪
আজকের আমেরিকা

রুচি পরনা।” আমরা প্রবাদটি জানি কিন্তু প্রবাদ অনুযায়ী কাজ করি না।

 ডিট্রয় নগরে যখন আমি একাকী ভ্রমণ করতাম তখন ইচ্ছা করেই নিগ্রোদের মত কথা বলতাম এবং ফেল্ট হেটের অগ্রভাগটা ঘোমটার মত টেনে দিতাম। এতে আমার মাথার চুল এবং লম্বা নাক অনেকটা লুকাতে পারতাম। চলার মাঝেও রকম আছে। যদি কারো একাজটি করতে হয় তবে মন হতে কর্ম তালিকা বাদ দিয়ে ধীরে সুস্থিরে পথ চলতে হবে। দেওয়াল ঠেস দিয়ে সামনের দিকে চেয়ে থাকতে হবে, পথচারীকে বুঝাতে হবে যে তুমি একজন বেকার নিগ্রো। পৃথিবীর খাবার অন্বেষণ ছাড়া আর কিছু তোমার করার নাই, তবেই নানা লোক নানা কথা তোমার কাছে বলতে ভয় করবে না।

 ডিট্রয় শুধু কলকারখানার কেন্দ্র নয়। আমাদের দেশের লাটগণ শীতের সময় পাহাড়ে পর্বতে চলে যান এখানেও ঠিক সেরূপ গরমের সময় অনেক ধনী লোকের সমাগম হয়। ধনীদের মুখ হতে নানা কথা অতর্কিতে বেরিয়ে পড়ে। ধনীর গৃহমজুর সে সংবাদ চড়া দামে সংবাদপত্রে বিক্রি করে বেশ লাভবান হয়। সংবাদ বিক্রি করার জন্য দরিয়া বিবির মত “দিল্লীতে সংবাদ বিক্রির জন্য দৌড়াতে হয় না।”

 পলিটিক্সই হ’ল লোকের প্রাণ। সেই প্রাণ নিয়ে যারা খেলা করে তাদের প্রতি লোক তাকিয়ে থাকে। ১৯৩৯ খৃঃ অঃ সেপ্টেম্বর মাসে আমি ডিট্রয় পৌঁছি। সে সময়ে ডিট্রয়ে বেশ হল্লা গোল্লা করে রাষ্ট্রনীতির কথা চর্চা হচ্ছিল। আমি রাষ্ট্রনীতির কথা শুনতে বেশ ভালবাসতাম বলেই সেই কথাগুলি কান পেতে শুনতাম এবং যতদূর পারি ততটুকু কাগজে এবং মনের কোণে টুকে রাখতাম।

 ওদের কথা শুনে মনে হ’ত আমেরিকার মজুরশ্রেণী আমেরিকার