পাতা:আজকের আমেরিকা.djvu/২১৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।



১৯৮
আজকের আমেরিকা

 আজও আমরা স্বামী বিবেকানন্দের কথা বলে তৃপ্তি অনুভব করি। গর্বও করে থাকি। আমাদের গর্ব, আমাদের তৃপ্তি এসবের পেছনে রয়েছে স্বামী বিবেকানন্দের চিকাগোর লেকচার। সেই চিকাগো দেখবার একটা প্রবল বাসনা পূর্বেও ছিল তারপর যখন ডিট্রয় আসলাম তখনও সেই ভাবটা আবার ফিরে এল। ডিট্রয় হতে চিকাগোর দিকে সাইকেলে যাবার আর চেষ্টা করলাম না। এরূপ চেষ্টা করা বাতুলতা মাত্র। হাতে টাকা রয়েছে অথচ রাত্রে হোটেলে কেবিনে কোথাও থাকতে পাব না, এরচেয়ে কষ্টের আর কি আছে। তাই চিকাগো যাবার অন্য বন্দোবস্ত হতে লাগল। বৃদ্ধ জগৎবন্ধু দেব মহাশয় আমার চিকাগো যাবার বন্দোবস্ত করতে লাগলেন। আমি নিশ্চিন্ত মনে কংগ্রেস স্ট্রিটের গৃকদের হোটেলে এবং অন্যান্য স্থানে সুখাদ্য খেয়ে দিন কাটাতে লাগলাম।

 মিঃ নাগের কয়েকজন তুরুক ও গৃক বন্ধু ছিল। তারা আমার সংগে কথা বলে সময় কাটাতে ভালবাসত। তুর্কীয়া আমি বেড়িয়ে এসেছি, তুরকাই ভাষার কয়েকটি কথাও আমি বলতে পারতাম। এসব নানা কারণে এদের সংগে আমার কথাবার্তা বেশ জম্‌ত। গৃক ভদ্রলোক ব্যবসা করতেন আর তুরুক ভদ্রলোক নানা বিষয়ে গবেষণা করতেন। যারা নানা বিষয়ে গবেষণা করে তারা প্রায়ই আনমনা হয়ে থাকে। কথা প্রসংগে একদিন গৃক ভদ্রলোককে জিগ্যাসা করেছিলাম কেন তিনি অনেক সময়ই নানারূপ ভুল করে বসেন? আমার কথার জবাব দিতে তিনি মোটেই পছন্দ করেছিলেন না, অনেক বলার পর তিনি আমাকে তুরুক জাতের সম্বন্ধে কয়েকটি কথা বলেছিলেন। সেই কথাগুলি রাষ্ট্রনীতি নিয়েই জড়িত। রাষ্ট্রনীতি সকল সময়ই কূটনীতির অধীন। এসম্বন্ধে যারা বেশি বকে তারাই পথের লোক,