পাতা:আজকের আমেরিকা.djvu/২২২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।



আজকের আমেরিকা
২০৭

পকেটে ছোট একটা পিস্তলও রয়েছে। তাকে জিগ্যাসা করলাম, “খবরের কাগজ পড়ার অপরাধেই গ্রেপ্তার করা হল বুঝি?”

 “তা নয়, আপনার হাতে মস্কো নিউজ।”

 “কোথায় আমার হাতে? এ যে আপনারই হাতে দেখছি। চলুন কোথায় যাবেন।”

 গোয়েন্দা একটু হেসে বললেন, “হাঁ। আমারই হাতে, তবে এ পার্কে বসে এসব সাহিত্য পাঠের স্বাধীনতা যে নাই, সে কথা বোধ হয় আপনি জানতেন না, এখন জানিয়ে দিলাম, সুতরাং এইটাকে পকেটে পুরুন।” গোয়েন্দা পার্কের বাইরে এসে আমায় বললেন, “গুডবাই”। আমি বললাম, “একেই বলে আপনাদের দেশের ডিমক্র্যাসি।”

 গোয়েন্দার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে, দোকানীর কাছে এসে গোয়েন্দার কথা বললাম। দোকানী বলল “সে জন্যই দেখছেন না, কাগজটা এরকম চুরি করেই বিক্রি করেছি। এদিকে লিথোনিয়ার যত স্টল আছে, সব কটাতেই ‘মস্কো নিউজ’ পাবেন, আমেরিকানরা এসবের ধার ধারে না। এদের রাতারাতি কোটিপতি হবার যে রকম হুজুগ তেমন হুজুগ আর কারো নাই; সে জন্যই এরা এত বিপদে পড়েছে।”

 “বিপদ বলে ত কিছুই দেখছি না?”

 “পূর্বে এরা কথায় কথায় মিলিয়ন ডলারের কথা বলত, এখন এক গ্রাণ্ট (একশত) ডলারকেই বড় মনে করে। এই শহরেই দেখবেন নিকেল, ডায়েম (পাঁচ সেণ্ট, দশ সেণ্ট) নিয়েও লোকে সুখী হয়। এখন আর পূর্বের আমেরিকা নাই। সোনার খনি উজাড় হয়েছে, পেট্রলের মাইন ধনীদের হাতে চলে গেছে, রিয়্যাল এস্টেট অনেক হয়েছে, মজুরী কমেছে, অথচ খরচ পূর্বের মতই রয়েছে। বেকার সমস্যাও কম নয়, কাজ পেলেই লোক যেন বাঁচল।” ঘড়িতে চেয়ে দেখি তিনটা