পাতা:আজকের আমেরিকা.djvu/২৩৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।



২২২
আজকের আমেরিকা

কোন ভবঘুরের দল কোন এক সময়ে এখানে আড্ডা গেড়েছিল, তাদের পরিত্যক্ত জিনিষ দিয়ে ঘর কখানা তৈরী হয়েছে; সবচেয়ে বড় ঘরের দৈর্ঘ্য এবং প্রস্থ দশ স্কোয়ার ফুটের বেশি নয়; প্রত্যেকটি তলা আবার সাত ফুটের বেশি উঁচু নয়। ঘরগুলি একই লাইনে অবস্থিত এবং চারটা ঘরের লোক যারা এসে বাস করেন তাদের জলের কোন ব্যবস্থা দেখলাম না। প্রত্যেকটি ঘরের পেছনে স্তূপাকৃতি পুরান টায়ার টিউব, দুধ, মাছ, মাংস, মাখন এসবের খালি টিন পড়ে রয়েছিল। আমেরিকার নগরে, শহরে এবং গ্রামে কেউ টিনের দুধ ব্যবহার করে না। কাগজের এক রকম বোতল হয় তাতেই দই, দুধ, ঘোল বিক্রি হয়ে থাকে। দুধের টিন দেখেই মনে হল, অনেক দূর হতে যারা আসে এবং নানা অসুবিধায় পতিত হয় তারাই এই গ্রামে থাকতে বাধা হয়। এরূপ গ্রাম বাস্তবিকই আনন্দদায়ক। চারিদিকে বিস্তীর্ণ মাঠ, লোকজন নাই, জল নিশ্চয়ই কোথাও আছে নতুবা কেউ এসে এখানে থাকতে পারত না যদি বলি তবে ভুল হবে, কারণ এদিকে যেই আসে তারই সংগে কিছু জল থাকেই। গ্রামের কাছে জল না থাকলেও বৈগ্‌গ্যানিক যুগে জলহীন গ্রামে মানুষ থাকতে পারে না তা নয়। তবে আমি জানতাম রকি পর্বতের উপর দিয়েই আমরা চলেছি। জল নিকটে কোথাও আছেই। আমরা গ্রাম পরিদর্শন করে গাড়িতে এসে বসলাম আর আমি ভাবতে লাগলাম আমেরিকার সিনেমার কথা। অনেকগুলি সিনেমায় দেখেছি এরূপ গ্রামের চিত্র এবং লোকসংখ্যা কমতি এবং বাড়তির সংবাদ।

 দৃশ্যের পর দৃশ্য চোখের সামনে আসছিল আর চলে যাচ্ছিল। তারপর আসছিল কালিফরনিয়ার দৃশ্য। সে দৃশ্য বড়ই সুন্দর। আমরা যেন একটা কচ্ছপের পিঠে ধীরে উঠে হঠাৎ নীচের দিকে নেমে