পাতা:আজকের আমেরিকা.djvu/৩৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।



২৬
আজকের আমেরিকা

করলেন এবং কয়েক কাপ্‌ মদের নমুনা দিলেন চেখে দেখবার জন্য! মদের প্রতি আমার দৃষ্টি ছিল না, আমার দৃষ্টি ছিল ম্যানেজার তাঁর বর্ণসংকর কর্মচারীদের প্রতি কেমন ব্যবহার করছেন তার প্রতি। এমন কি, কথা প্রসংগে জিজ্ঞাসা করেও ফেললাম, “প্রকাশ্যে কিংবা অপ্রকাশ্যে কোন বর্ণবৈষম্য আছে কি?” শ্বেতকায় ম্যানেজার বললেন, “এখানে কোনরূপ বর্ণ বৈষম্য নাই।” আমি বললাম, “যদি তাই হয়, তবে জিজ্ঞাসা করব মজুরীর দিক দিয়ে কোনও বর্ণবৈষম্য আছে কি অর্থাৎ যদি আপনার জায়গায় একজন অর্ধ-পতুগীজ কাজ করে, তবে আপনার অনুরূপ মাইনে পাবে কি? দ্বিতীয়ত ওদের এই ধরনের কাজ পেতে কখনও বেগ পেতে হয় কি, অথবা তাদের সেরূপ কাজ হতে বন্‌চিত করা হয় কি?” পর্তুগীজ ম্যানেজার হেসে বললেন, “সে রকম কিছুই নাই। তবে দরিদ্রের রক্ত শুষে ধনী যে অট্টালিকা তৈরী করে তা থেকে আমরাও বাদ যাই না; পথে ঘাটে চলাফেরা করলেই তা দেখতে পাবেন। আরও দেখবেন দরিদ্রতার জন্য মানুষের জীবনে যে অবনতি আসে, তা হতে আমরাও বাদ যাইনি। ধনীদের দোষনীয় বাসনা বড়ই প্রবল হয়। সেই দুষ্ট বৃত্তিকে দমন করার জন্য আমেরিকা এবং ইউরোপ হতে ধনীরা মেডিরাতে আসে। আজ যে সকল যাত্রী এই জাহাজে করে আসল সকলেই মেডিরা বেড়িয়ে দেখতে আসেনি, তারা এসেছে নানারূপ পাপ বাসনা পূরণ করতে। তাদের পাপবাসনাতে আহুতি দেবার জন্য অনেক যুবক যুবতী তৈরী হয়ে আছে। তাদের সংখ্যা কম নয়।” ম্যানেজারের কথায় মনে এমন একটা ধাক্কা এসে লাগল যা সামলাতে অনেক সময় লেগেছিল। আর কথা হল না, বেড়িয়ে চলে আসলাম। পথে দেখা হল কতকগুলি বুয়ার সেপাইদের সংগে।

 বুয়ার সেপাইদের বড়ই আনন্দ। তাদের ভবিষ্যতের চিন্তা নাই তাই