পাতা:আজকের আমেরিকা.djvu/৩৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।



আজকের আমেরিকা
২৯

সভায় আগত প্রত্যেকে এক একজন করে আমার করমর্দন করেছিলেন। বুঝতে পেরেছিলাম সাদা কথার এখনও মূল্য আছে।

 সাউথ্‌হাম্‌টন অতি কাছে। এর পূর্বেও আমি লণ্ডনে গিয়েছিলাম। সেবারে আমি ছিলাম ক্লান্ত রিক্তহস্ত এবং পেটের ক্ষুধায় জর্জরিত। এবার কিন্তু তা নয়। এবার খেয়ে খেয়ে ডিস্‌পেপসিয়া ধরেছে। পকেটে টাকা আছে। টাকা এবার মনে আনন্দ এনে দিয়েছে। তাই সে আনন্দকে বাড়িয়ে তোলার জন্য লণ্ডন দেখার একটা ফর্দ করে নিলাম এবং ঠিক করলাম এবার লণ্ডন প্রাণ ভরে দেখে নিব।

 দূর থেকে সাউথ্‌হাম্‌টনের লাইট হাউসের আলেক রেখা দেখে মন উল্লসিত হয়ে উঠেছিল। আমাদের ও নেটিভদের আনন্দ সমান নয়। তাদের হল মাতৃভূমি আর আমাদের হল বিদেশ।

 পিঠ-ঝোলাতে সামান্য জিনিষপত্র চড়িয়ে দিয়ে জাহাজ হতে নেমে পড়লাম। আমরা সবাই গিয়ে বসলাম রেলষ্টেশনের কাষ্টম হাউসে। সেখানে জিনিষপত্র পরীক্ষা হবে। কাষ্টম হাউসে একটি রেস্তোরাঁও ছিল, তাতে সকলে চা পানে ব্যস্ত ছিল। আমিও চায়ের আদেশ দিলাম।

 সাউথ্‌হাম্‌টনে একটা সুন্দর নিয়ম আছে। যেই বিদেশ হতে একটা বড় জাহাজ এল অমনি স্পেশাল ট্রেনের ব্যবস্থা করা হয়। আমাকেও নেটিভদের সংগে স্পেশাল ট্রেনে ওয়াটারলু ষ্টেশন পর্যন্ত যেতে হয়েছিল। আমাদের জন্য বসবার স্থানের রিজারভেসন ছিল না বলেই সর্বত্র বসবার অধিকার ছিল। নিশ্চিন্ত মনে একটা কামরাতে ঢুকে পড়লাম। গাড়ি ছাড়ল এবং চলল লণ্ডনের দিকে। ওয়াটারলু ষ্টেশনে নামার পর আমার পরিচিত কালো আদমীদের দ্বারা পরিচালিত ওয়াই. এম. সি. এ.-তে গিয়ে উঠলাম। এখানে এসে মনে হল দক্ষিণ আফ্রিকার অমানুষিক