পাতা:আজকের আমেরিকা.djvu/৪৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।



আজকের আমেরিকা
৩৯

 পুরুষরা সব সময়েই মেয়েদের সম্মান দেখায় এটা ইউরোপীয় সমাজের একটা সুন্দর রীতি। আমি তার অনুকরণ করতে ভুলিনি। যখনই অসাবধানে কোনও স্ত্রীলোক আমার উপর এসে পড়ছিলেন তখনই আমি ক্ষমা চেয়েছিলাম কিন্তু ফল তাতে সুবিধাজনক হয় নি। রমণীরা ভেবেছিলেন আমার কোনও অসৎ উদ্দেশ্য ছিল। আমি পরাধীন ভারতবাসী কিনা, তাই দু-একবার আমার নেটিভ সাথীটিকে পথচারী মহিলাগণ সাবধান করে বলেছিলেন “এমন লোকের সংগে চলছ কেন?” তা ওদের দোষ নয়; আমাদের দেশের নাবিক, ছাত্র এবং ভদ্রলোক অনেক সময় লণ্ডনে গিয়ে ভুলে যান যে তারা লণ্ডনে কি কলকাতায়। অশিষ্টতায় তারা উন্মত্ত হয়ে উঠেন। টটেনহামকোর্ট রোডে যদি কোনও ইণ্ডিয়ান নাবিক এসে বিকালে দাঁড়ায়, তবে পুলিস অমনি গলাধাক্কা দেয়, কখনও বা ধরেও নিয়ে যায়। সেরূপ নালিশ আমার কাছে অনেকবার অনেকে করেছিলেন। এর প্রতিবাদ করবার জন্য টটেনহামকোর্ট রোডে একদিন গিয়ে দাঁড়াতে সাহস করেছিলাম, কারণ ভাল করেই জানতাম এখানকার পুলিস অমানুষ নয় মানুষ, আমাদের দেশের পুলিসের মতন তারা নয়। টটেনহামকোর্ট রোডে পুলিশ আমাকে পথে দাঁড়াবার জন্য ধরেছিল! যখন আমি এ বিষয়ে তীব্র ভাষায় প্রতিবাদ করেছিলাম তখন পুলিস আমার কাছে ক্ষমাও চেয়েছিল। পুলিস বুঝতে পেরেছিল আমি অসৎ লোক নই।

 ইউরোপীয়দের মাঝে চোর লম্পট ডাকাত সবই আছে কিন্তু তাদের মাঝে নারীধর্ষণ কমই হয়। “ওয়ার্ল্ড নিউজ” নামক পত্রিকা ব্রিটিশ জাতির যত দোষ ও নিন্দার বিষয় সর্বদাই প্রকাশ করে। পড়লে দেখা যায় নারীধর্ষণের বিবরণ তাতে অতি অল্পই আছে। আমাদের দেশে নারীধর্ষণ তো সমাজের অংগের ভূষণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বেশী রাত্রি