পাতা:আজকের আমেরিকা.djvu/৬৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
আজকের আমেরিকা
৫৭

আমাদের দুজনেরও ডাক পড়ল। আমেরিকান ভদ্রলোক নিশ্চিন্ত ছিলেন। তাঁর ডাক্তারী পরীক্ষা হল না, ডাক্তার শুধু, ‘গুডবাই’ বলেই তাঁকে বিদায় দিলেন। আমার ডাক্তারী পরীক্ষা হবার পর ইমিগ্রেশন অফিসারের কাছে হাজির করা হল। অফিসার আমার পাসপোর্ট একদিকে রেখে দিয়ে বললেন, “এখানে বসুন, পরে দেখব।” এ যে ঘটবে তা আমার জানাই ছিল। আমি চেয়ার ছেড়ে দিয়ে পাশে এসে জাহাজ লাগার জায়গাটা দেখতে লাগলাম।

 দুদিকে কাঠের দেওয়াল রয়েছে। এই দেওয়াল ডিংগিয়ে পার হওয়া সাধ্যাতীত। একদিকে নদী এবং একদিকে জাহাজ থেকে নামবার গেট। এই গেটে প্রবেশ করতে সকলেরই পাসের দরকার হয়। এমন কড়া ব্যবস্থা থাকা সত্ত্বেও আমাদের দেশের খালাসীরা যে কি করে জাহাজ থেকে পালিরে সাঁতার কেটে শহরে যায়, তা বলা শক্ত। এসব যখন দেখ্‌ছিলাম আর ভাবছিলাম তখন ইমিগ্রেশন অফিসার আমাকে ডেকে বললেন, “একজন ইউরোপীয় মহিলা আপনার সংগে দেখা করতে চান, বসুন এখানে, এখনই তিনি আসবেন।” নূতন করে একটা সিগারেট ধরিয়ে আরাম করে চেয়ারে বসলাম।

 মিনিট পাঁচেক পরেই সেই ইউরোপীয় মহিলা এসে আমাকে সংবাদ দিলেন যে একজন হিন্দু মহিলা এখনই আসবেন আমার সংগে দেখা করতে, আমি যেন এখানেই তার জন্যে অপেক্ষা করি। অপেক্ষা করার সময় হঠাৎ মনে হল তিনি কমলা দেবী মুখার্জ্জি নন তো, উপেনবাবু যার কথা আমার কাছে লিখেছিলেন? এতে মনে একটা আশার সন্‌চার হল।

 মিনিট দশেক পরেই, পরনে শাড়ি, কপালে সিঁদুরের টিপ, পায়ে ভারতীয় স্যাণ্ডেল, একটী মহিলা আসতে লাগলেন। আমেরিকান,