পাতা:আজাদ হিন্দ ফৌজ - দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/১২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
আজাদ হিন্দ ফৌজ

মূল নীতি নির্ধারিত হয়। এই সম্মেলন হইতে গণতান্ত্রিক প্রতিনিধিত্বের ভিত্তিতে আজাদ হিন্দ সংঘ গঠিত হয়। ইহার সভাপতি হন রাসবিহারী বসু। ভারতীয়গণের এই স্বাধীন প্রচেষ্টা জাপান কিছুতেই প্রীতির চক্ষে দেখিতে পারে নাই। বরঞ্চ সাম্রাজ্যবাদী জাপানের মনেও ভীতি ও আতঙ্কের সৃষ্টি হইয়াছিল। পাছে সম্রাজ্যবাদের ক্ষতি হয় এই জন্য জাপান অচিরেই এই সংঘ-গঠিত সৈন্যবাহিনী ভাঙ্গিয়া দেয়।

 ১৯৪৩ সালের ২রা জুলাই সুভাষ চন্দ্র সিঙ্গাপুর পৌঁছেন। পুনরায় তিনি ২নং আজাদ হিন্দ ফৌজ সংগঠন করিবার নিমিত্ত ৪ঠা জুলাই এক সম্মেলন আহ্বান করেন। তাহাতে তিনি সভাপতি নির্বাচিত হন এবং সকল আন্দোলনের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। এই সংঘ গঠিত পরিষদে রাসবিহারী বসু তাঁহার প্রধান পরামর্শদাতা ছিলেন।

 “রাজদ্রোহ কমিটি” সুপারিশ করিয়াছিলেন যে, শ্রীযুত বসু ভারতে প্রত্যাবর্ত্তন করামাত্র তাঁহাকে গ্রেপ্তার করিতে হইবে। তিনি বাস্তবিক নির্ব্বাসিতের জীবন যাপন করিতেছিলেন। তাঁহার মৃত্যুতে একজন বিশিষ্ট ভারতীয় বিপ্লবীর জীবনের অবসান ঘটিয়াছে।

রাজা মহেন্দ্র প্রতাপ

 রাজা মহেন্দ্র প্রতাপ সুরসানের রাজা বাহাদুর ঘনশ্যাম সিংহের পুত্র। ১৮৮৬ সালে তাঁহার জন্ম হয়। রাজা ঘনশ্যাম সিংহের নিকট-আত্মীয় হাথরাসের রাজা হরনারায়ণ সিংহের কোন পুত্র ছিল না। এইজন্য ঘনশ্যাম সিংহ হাথরাসের রাজা হরনারায়ণ সিংহের নিকট মহেন্দ্র প্রতাপকে আড়াই বৎসর বয়সের সময় পোষ্যরূপে দান করেন এবং হরনারায়ণও আনন্দের সহিত মহেন্দ্র প্রতাপকে দত্তকপুত্ররূপে গ্রহণ করেন।

 হাথরাসের রাজা নিজ রাজ্য হাথরাস ছাড়িয়া বৃন্দাবনধামে বাস করিতেই