পাতা:আজ কাল পরশুর গল্প.pdf/১৪৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

qI( •• ¥ሻ ሃ(o ?ቑ মোটর চলে, আস্তে। ড্রাইভার ঘনশ্যাম মনে মনে বিরক্ত হয়, স্পিড দেবার জন্য অভ্যাস নিসপিস করে ওঠে। প্রত্যঙ্গে, কিন্তু উপায় নেই। বাবুর আস্তে চালাবার হুকুম। কাজে যাবার সময় গাড়ী জোরে চললে তার কোন আপত্তি হয় না। কিন্তু সস্ত্রীক হাওয়া খেতে বার হলে তারা দুজনেই কলকাতার পথে মোটর চড়ে-নিজেদের দামী মোটর চড়ে-বেড়াবার অকথ্য আনন্দ রয়ে সয়ে চেটেপুটে উপভোগ করতে ভালোবাসে । এত বড়, এত দামী, এমন চকচকে মোটর গড়িয়ে চলেছে সহরের পিচ-ঢালা পথে, শুধু এই সত্যটাই যেন একটানা শিহরণ হয়ে থাকে সুশীলার। তারপর আছে পুরনো, সস্তা, বাজে মোটর গাড়ীর চলা দেখে মুখ বাঁকানোর সুখ। আর আছে বোঝাই ট্রাম বাসের দিকে তাকিয়ে তিন বছর আগেকার কল্পনাতীত স্বপ্নজগতে বাস্তব, প্রত্যক্ষ বিচরণের অনুভূতি । ট্রামের হাতল ধরে আর বাসের পিছনে মানুষকে কুলতে দেখে সুশীলার মায়া হয়, এক অস্তুত মায়া ! যাতে গর্ব্ব বেশী । তিন বছর আগে মাখনকেও তো এমনিভাবে ঝুলতে বুলতে কাজে যেতে হত। স্বামীর অতীত সাধারণত্বের দুর্দশা আজি বড় বেশী মনে হওয়ায় ট্রাম-বাসের বাদুড়ঝোলা মানুষদের প্রতি উত্তপ্ত দরদ জাগে সুশীলার। মাখন সিগারেট ধরিয়ে এপাশে ধোয়া ছেড়ে ওপাশে সুশীলার দিকে আড়চোখে SS)Ի)