পাতা:আজ কাল পরশুর গল্প.pdf/১৬১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নে উী “দাম দে ভাল চাসতো গগন। ছেলেকে তোর পুলিসে দেব নইলে ।” ‘দাম কোথা পাব পণ্ডিতমশাই ? মনাকে দেখে হৃদয়-পণ্ডিত যেন একটু আশ্চর্য্য হয়েই বলল, “তুই কবে এলিরে মনা ? স্বামী মরল কবে ?” ছ'মাস পূর্ণ ঘোষালের সঙ্গে থেকে হৃদয়-পণ্ডিতের চেহারা, তাকানি, কথার ভঙ্গি সব অদ্ভুত রকম বদলে গেছে ; স্কুলটা না উঠে গেলে কি হত বলা যায় না। চিরকাল যে মহান দারিদ্র্যের আদশের শোষণে থেতো এবং ভোতা হয়ে নির্বিরোধ ভাল মানুষ সেজে ছিল, তাই হয়ত সে থাকত শেষ পর্য্যন্ত। পূর্ণ ঘোষালের সঙ্গে মিশে ঝড়তি পড়তি উপায়ে টাকা কুড়োতে শিখে হঠাৎ সে মানুষ হয়ে উঠল “ভাল টুকুর খোলস ছেড়ে। ছাগল ছানার জন্য আর বেশী হাঙ্গামা সে করল না । ধমক দিয়ে আর ভবিষ্যতের জন্য সাবধানু করেই ক্ষান্ত হল । কঁঠাল কাঠের পিড়িতে জোঁকে বসল গগনের জন্য একটা কিছু ব্যবস্থা করে দিতে। ভিটে ছাড়া কিছুই আর নেই। গগনের । “বাধা রাখা। রেখে চলে যা বাপ বেটা রোজগার করতে। দুটো যোয়ান মানুষ ঘরে বসে না খেয়ে মরছিস, লজ্জা করে না ?” যাবার আগে হৃদয়-পণ্ডিত মনাকে বলে গেল, “তুইও দেখছি চুল পেয়েছিস্ মায়ের মতো।” মনা বলল, “উঠেই গেল সব চুল।” অনেকে গিয়েছে গা ছেড়ে অনেকে যাই যাই করছে, কেউ আপনােক জনদের ফেলে একা, কেউ সপরিবারে। ফিরেও এসেছে দু’একজন Q R