পাতা:আজ কাল পরশুর গল্প.pdf/১৬৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নে ড়েী সংবাদ মেলে না। শোক দুঃখ ও দৈহিক যন্ত্রণাবোধ আবার ঝিমিয়ে আসে দু’জনের। মনার মেয়েটা মরে যায় দুধের অভাবে, কঁাড়া-চাল* খাওয়া পেটের অসুখে । তারার কোলের ছেলেটাও মরে একই ভাবে। তারপর একে একে, এবেলা একজন আর ওবেলা একজন করে, আরও একটা ছেলে ও মেয়ে মারা যায়। তারার। থাকে দুটি—মরমর অবস্থায়। দশটির মধ্যে তারার চারটি সন্তান মরেছিল—এদেশে ওরকম মরতে হয় খুব স্বাভাবিক নিয়মে—আর চারটি মরে দুর্ভিক্ষে । হৃদয়-পণ্ডিত আসে যায়, পরামর্শ দেয়, উপকার করতে চায় কিন্তু চাল দেয় না । পেটে জ্বালা না থাকলে মানুষ কথা শুনবে কেন । বলে, ‘চাল পাব কোথায়, চাল ? যা বলি শোন। সদরে চল তোমরা ; খাওয়া পরার ব্যবস্থা করে দেব। গগন যদি ফিরে আসে, তোমরাও ফিরে আসবে।” তারা বলে, “আপনি বাপ, যা ভুল বোঝেন করেন।” দু’জনে রাজি হলে হৃদয় মনে মনে একটু হিসেব কষে দেখে। মনেও আসে চেষ্টাং কৃতের সংস্কৃত শ্লোকটা । তাই মনাকে আড়ালে বলে, “যা করছি সব তোরই ভালর জন্যে মন । কিন্তু চারজনের ব্যবস্থা কি করতে পারব ? খাটুকা লাগছে। মা না গেলে তুই যদি না যাসগেলে কিন্তু সুখে থাকতিস। মাছ দুধ খাবি, শাড়ী গয়না। 9if ‘বলেছি। যাব না ?” ‘বলিসনি ? বলিসনি তো ? বেশ বেশ ।” তারার অজান্তেই মনাকে শাড়ী গয়না পরিয়ে মাছ দুধ খাইয়ে Nòt: O