আ জ কা ল প র শু র গ ল্প
‘ভাগছো যে? দাঁড়াও, কথা আছে অনেক।’
‘ওনারা কারা?’
‘তা দিয়ে কাজ কি তোমার?’ গিরি ফূঁসে ওঠে। জামা সে ছাড়ে না ঘনশ্যামের, পিছন ছেড়ে সামনেটা ধরে রাখে। কটমটিয়ে তাকায় বিষণ্ণ ক্রূদ্ধ দৃষ্টিতে। ঢোঁক গিলে দাঁতে দাঁত ঘষে।
‘মা না কি ভালো আছে, বেশ আছে, মোর মা?’
‘আছে না?’
‘আছে? মাথা বিগড়েছে কার তবে, মোর? ক্ষেপেছে কে, মুই! তা ক্ষেপিছি, মাথা মোর ঘুরতে নেগেছে। ওরে নক্ষ্মীছাড়া, ঠক, মিথ্যুক-’
‘ও গিরিবালা!’ সুরমা ভিতর থেকে বলে মৃদু স্বরে।
গাল বন্ধ করে নিজেকে গিরি সামলায়, গলা নামিয়ে বলে, ‘মোর বাপকে টাকা দিয়ে বিভুঁয়ে মরতে পেঠিয়েছিল কে?’
‘ওনারা বলেছে বুঝি?’
‘মিছে বলেছে?’ গিরি ডুকরে কেঁদে ওঠে বাপের শোকে, ‘ও বাবা! মোর নেগে তুমি খুন হলে গো বাবা! এ নচ্ছার মেয়ার ধরে প্রাণ কেন আছে গো বাবা।’ ভেতর থেকে আবার সুরমা ডাকে: ‘ও গিরিবালা! তোমার বাবা মরেছে কে বললে? খবর তো পাওয়া যায়নি কিছু। বেঁচেই হয়তো আছে, মরবে কেন?’
‘নিখোঁজ তো হয়েছে আজ দশ মাস।’ গিরি বলে নিজেকে সামলে গলা নামিয়ে।
অন্য ঘরের মেয়েরা জানালা-দরজায় উঁকি দেয়, কেউ কাজের
১৪