পাতা:আজ কাল পরশুর গল্প.pdf/২০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আ জ কা ল প র শু র গ ল্প

না। কায়স্থের মেয়ে না হলে ওকে সে বিয়েই করে ফেলত এখানে টেনে না এনে।

ছেড়ে দেবে ভাবছিল কিছু দিন থেকে, যদি ছেড়ে দিত! আজ তাহলে এ হাঙ্গামায় তাকে পড়তে হত না ভদ্রঘরের ও এই ধিঙ্গি মাগিগুলোর কল্যাণে।

‘এত পয়সা করেছ, বিড়ি টানে।’ গিরিবালা বলে, মুখ বাঁকিয়ে। বলে সোজা হয়ে বসে, ‘রামপদ’র পেছনে নাকি নেগেছ তুমি? একঘরে করবে? সাধুপুরুষ আমার! মোর ঘরে ফেরবার পথে কাঁটা দেবার মতলব, না? ওর বৌকে ঘরে ফিরতে না দিলে, মোকে কে ঘরে ফিরতে দেবে শুনি? মোকে একঘরে করবে না সবাই?’

গোকুল মদের বোতল নিয়ে এলে গিরি একদৃষ্টে বোতলটার দিকে তাকিয়ে থাকে। জিভ দিয়ে ঘন ঘন ঠোঁট ভেজায়। মুখের ভাব পলকে পলকে বদলে গিয়ে ঘনিয়ে আসে রুগ্নের যাতনাভরা লেলুপতা নিষিদ্ধ বস্তুর প্রতি বিকারগ্রস্তের তীব্র কাতরতা।

‘বিলাতী?’

গোকুল সায় দেয়।

গিরি যেন শিখিল হয়ে ঝিমিয়ে যায়। অতি কষ্টে বলে, ‘যাক, এনেছ যখন, খাও শেষ দিনটা। ভোর ভোর উঠে চলে যাবে কিন্তু।’

মদের গ্লাসে দু’-চার বার চুমুক দিয়ে একটু স্থির হয়ে ঘনশ্যাম ভাবে না, কোন উপায় নেই। ভয় দেখানো জবরদস্তি, মিষ্টি কথা, লোভ দেখানো, বানানো কথায় ভেলানো কিছুই খাটবে না। সে গিরি আর

১৬