পাতা:আজ কাল পরশুর গল্প.pdf/৩১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দুঃ শা স নী য়

যায় তার অপুষ্ট দেহ ও পরিপুষ্ট স্তন। হায়, ধূলাে মাটি ছাই কাদা মেখেও যদি আড়াল করা যেত মেয়েমানুষের লজ্জাজনকে পোড়া দেহের


বৈকুণ্ঠ মালিক মাঠে মাঠে ভীষণ খাটে, নিজকে আর বৌটাকে খাইয়ে পরিয়ে বাঁচিয়ে রাখতে। সন্ন্যাসীবাবুর দালানের পর আমবাগান, তার এপাশে রাস্তা এবং ওপাশে ঘুপচিমারা পথের ইয়ার্কি, তার কাছে দু’বিঘে বিচ্ছিন্ন ধান জমির লাগাও বৈকুণ্ঠের মোট আড়াইখানা কুঁড়ে নিয়ে তিন পুরুষের বসতবাটি। আড়াই খানা কুঁড়ের মধ্যে ঘর বলা যায় একটাকে, তার ঝাঁপের দরজা,বাঁশের দেয়াল, বাঁশের দুয়ার, বাঁশের খিল। ঝাঁপে থপ থপ থাপড় মেরে বৈকুণ্ঠ প্রায় পিত্তি-ফাটা তেতো গলায় বলে, ‘বাড়াবাড়ি করছিস ছোট বৌ, বাড়াবাড়ি করছিস বড়। মোর কাছে তোর লজ্জাডা কি?’

তার বৌ মানদা ভেতর থেকে বলে, ‘মুখপোড়া বজ্জাত! বোনকে কাপড় দিয়ে বোয়ের সাথে মস্করা? যমের অরুচি, লক্ষ্মীছাড়া।’

সুন্দর সকাল, সুন্দর সন্ধ্যা-কচুর পাতায় শিশির ফোঁটায় মুক্তা হীরা। সকাল থেকে সন্ধ্যা তক্ ঝাঁপের দু’পাশে এমনি গালাগালি চলে দু’জনের মধ্যে। বাড়ীর তিনদিকে মাঠ ভরে শন উঁচু হয়ে আছে আড়াই থেকে তিন হাত। ছুটে গিয়ে ডুব দিলে লজ্জাসরম সব ঢাকা পড়ে যায়-আকাশের দিকে চেয়ে প্রাণভরে কাঁদা যায় নির্ভয় নিশ্চিন্ত মনে। এই শনের বনের মাঝখানের পায়ে-হাঁটা পথ ধরে বেনারশী শাড়ী পরা গোকুলের

২৭